একটি বাংলা প্রেমের গল্প
একটি সোনালী সূর্যের আলো দিয়ে পূর্ব বাংলার একটি গ্রামের ক্ষেতে সবুজ বেলা। তার মাঝে ছিল একটি ছোট ছেলে, অনিক, যে প্রকৃতির মাঝে পল্লবিত ছিল। প্রতিদিনের মতো অনিক ওদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য নদীর কিনারায় খেলতে যাওয়া শুরু করে। তার ছোট্ট হাত দিয়ে তার মাকে বিদায় দিতে যাওয়া সবসময়ের মতো তিনি বলে জানতেন, “আমি কতই বেড়াচ্ছি তোমার পাশে থাকতে।”
একদিন, অনিক কেটে গেল একটি কবিতা লেখকের সাথে যিনি দেখা করেছিলেন কিছু সাহিত্যিক আয়োজনের জন্য। তার মধ্যে একজন আত্মপ্রকাশশীল কবিতা লেখিকা, প্রিয়াংকা বা রুপশী, ছিলেন। প্রিয়াংকা অনিককে এক পক্ষে স্বাগত করে দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মন মেলে গেল অনিকের সাদামুখে চোখের জ্বালা দেখে। তার চেহারার প্রতিটি প্রকাশে অনিক এক নতুন সূর্যের মত অনুভব করে। সেই দিন থেকেই তার জীবনে প্রিয়াংকা গভীরভাবে সন্ধান করতে লাগল অনিক।
একদিন, অনিক মাঠে বসে একটি কবিতা লিখছিল তার প্রিয়াংকা উদ্দেশ্যে। কবিতাটি সম্পন্ন হলেও অনিক অনুমান করতে পারছিল না তার কবিতা প্রিয়াংকা কাছে কীভাবে পৌঁছাবে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ছোট ছোট পাখি অনিকের কাছে আসল। অনিক উদ্বিগ্ন হয়ে একটি চিঠি খুলল যেটায় লিখা ছিল, “তোমার কবিতা আমার মনে বেঁধে দিলে। তাই এই ছোট পাখি তোমাকে আমার দিকে নিয়ে এসেছে।”
অনিক আশ্চর্যে ঘুম ভাঙলেও তার চিঠির উপর উঠে তাকালে দেখলেন প্রিয়াংকা তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। প্রিয়াংকার চোখে অনুবর্তিত প্রেমের জ্বালা প্রকাশ করে অনিক ভালোবাসার পাখি হয়ে পরিণত হলেন। সেই মুহূর্তে তারা এক অদ্ভুত প্রেমের বন্ধনে বাধিত হয়ে গেলেন একসঙ্গে।
পরবর্তী দিনগুলোতে অনিক ও প্রিয়াংকা সাথে সাথে বেড়ে গেল এক অদ্ভুত সংসারের মধ্যে। তাদের প্রেম গল্প পূর্ণ হল বাস্তবে, স্বপ্নে অবিচ্ছেদ্য। সেই ছোট্ট গ্রামের গলিতে একটি সুন্দর প্রেমের ফুল খুসমুস হয়ে মহীয়ান্ন হয়েছে অনিক ও প্রিয়াংকার।
