রাসুল সাঃ একজন সাহাবা একটি মেয়েকে গোসলরত অবস্থায় দেখে ফেলার বিস্ময়কর ঘটনা

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন । হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ও একজন সাহাবীর একটি হৃদয়বিদারক সত্য ঘটনা সম্পর্কে বলতে চলেছি । যা শুনে আপনার মন ছুয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের একজন সাহাবী ছিলেন তার নাম ছিল তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর জন্য বার্তা বাহক হিসেবে এখানে সেখানে ছুটোছুটি করে বেড়াতেন  মদিনার পথ ধরে চলেছেন ,এমন সময় একটা বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তার চোখে পড়ল দরজা খুলে তাকে এক ঘরের মধ্যে ভিতরে গোসলখানায় একজন মহিলা গোসল রত অবস্থায় ছিলেন এবং বাতাসে সেখানকার পর্দা উঠছিল তার চোখ ওই মহিলার ওপর গিয়ে পরলো সঙ্গে সঙ্গে.।

বৃষ্টি নামে নিলেন কিন্তু সালাবার মন এক গভীর অপরাধবোধে ভরে গেল প্রচন্ড দুঃখ তাকে আচ্ছাদন করল তার নিজেকে মুনাফিকের মত লাগছিল তিনি ভাবলেন কিভাবে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সাহাবা হয় এতটা অপ্রীতিকর কাজ করতে পারি কিভাবে মানুষের গোপনীয়তাকে নষ্ট করতে পারি যে আমি কিনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর বার্তা বাহক হিসেবে কাজ করি কেমন করে এই ভীষণ আপত্তিজনক আচরণ তার পক্ষে সম্ভব তার মন আল্লাহর ভয়ে কাতর হয়ে গেল তিনি ভাবলেন নাজানি আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমার এই আচরণের কথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কাছে প্রকাশ করে দেয়ায় তিনি ভয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মুখোমুখি হওয়া যায় তিনি তৎক্ষণাৎ ওই স্থান থেকে পালিয়ে গেলেন এভাবে অনেক দিন চলে গেল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম অন্যান্য সাহাবাদেরকে সালাবার কথা জিজ্ঞেস করতে থাকলেন কিন্তু সবাই জানালো কেউ চোখে দেখেনি এদিকে রাসূল সা.।

আলাহু আলা সালাম এর দুশ্চিন্তা রবিবার ছিল তিনি ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সালমান ফারসী সহ আরো কিছু সাহাবাদের পাঠালেন চালাবার জন্য মদিনা তন্নতন্ন করে খুঁজেও চালাবার দেখা মিলল না পরে মদিনার একেবারে সীমান্তবর্তী একটা স্থানে মক্কা ও মদীনার মধ্যখানে অবস্থিত পর্বত একটা জায়গায় পৌঁছে কিছু বেদুঈনের সাথে দেখা হলো তাদের সেখানে এসে তারা সালাত সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করলেন বললেন তোমরা কি একটা লম্বা তরুণ কম বয়সী একটা ছেলেকে এদিকে আসতে দেখেছো বেদুইন গুলো মিশ্রণের ছিল তারা জবাব দিল সে খবর তারা জানেনা তবে তারা জিজ্ঞেস করল তোমরা কি ক্রন্দনরত বালকের সন্ধান এসেছ এ কথা শুনে সাহাবীরা আগ্রহী হয়ে উঠলেন এবং তার বর্ণনা জানতে চাইলেন উত্তরে ওরা বলল আমরা প্রতিদিন দেখি মাগরিবের সময় এখানে একটা ছেলে আছে সে দেখতে এত লম্বা কিন্তু খুবই দুর্বল সে শুধু কাঁদতে থাকে.।

আমরা তাকে খাওয়ানোর জন্য একবার এই দুধ দিয়ে দুধের বাটি তে চুমুক দেয়ার সময় তার চোখের পানি টপটপ করে পড়ে মিশে যায় দুধের সাথে কিন্তু সেদিকে তার হুঁশ থাকে না তারা জানালো ৪০দিন যাবত ছেলেটা এখানেই আছে একটা পর্বতের গুহার মধ্যে সে থাকে দিনে একবারই সে নেমে আসে কাঁদতে কাঁদতে আবার কাঁদতে কাঁদতে আল্লাহর কাছে সর্বদা ক্ষমা প্রার্থনা করতে করতে উপরে চলে যায় সাহাবারা বর্ণনা শুনে বুঝলেন এ ছাড়া আর কেউই নয় তবে তারা উপরে গিয়ে শালা আমাকে ভরিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন না এজন্য নিচেই অপেক্ষা করতে লাগলেন যথাসময়ে প্রতিদিনের মতো আজও সবার ক্রন্দনরত অবস্থায় নেমে আসলেন তার কোন দিকে খেয়াল নেই কি দুর্বল শরীর হয়ে গেছে তার কথামতো তারা দেখতে পেলেন সালাবা দুধের বাটি হাতে কাঁদছে আর তাঁর রসূল মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে তার চেহারায় গভীর বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে সাহাবারা থাকে বললেন আমাদের.।

ফিরে চলো কিন্তু সালাবা যেতে রাজি হচ্ছিলেন না তিনি বারবার সাহাবাদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন আল্লাহ কি আমার মোনাফেকি বিষয়ে কোন সূরা নাযিল করেছে সাহাবারা উত্তরে বললেন না আমাদের জানামতে এমন কোনো আয়াত নাজিল হয়নি ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদেরকে তোমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন তুমি যদি এখন যেতে রাজি না হও তাহলে তোমাকে আমরা জোর করে ধরে নিয়ে যাব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কথা অমান্য করবেন এমন কোন সাহাবী ছিল না কিন্তু চালাবি এতটাই লজ্জিত ছিলেন যে ফিরে যেতে চাচ্ছিলেন এরপর সাহাপাড়া থাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কাছে মদিনায় নিয়ে আসলেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কাছে এসে আবারও একই প্রশ্ন করলেন আল্লাহ কি আমাকে মুনাফিকদের মধ্যে অন্তর্গত করেছেন অথবা এমন কোন আয়াত নাযিল করেছেন যেখানে বলা হয় আমি মুনাফিক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তাকে নিশ্চিত করলেন যে এমন কিছুই নাজিল হয়নি তিনি দুর্বল.।

পরিশ্রান্ত মাথাটা নিজের কোলের উপর রাখলেন শালা বাঁকা দেখাতে বলে উঠলেন হে আল্লাহর রাসূল এমন গুনাহগার ব্যক্তির মাথা আপনার কল থেকে সরিয়ে নিন উনার কাছে মনে হচ্ছিল যেন সেইসব স্নেহের যোগ্য না রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তাকে সান্তনা দিতে থাকলেন আল্লাহর রহমত আপনার উপর ভরসা করতে বললেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন এমন সময় সালমা বললেন হে আল্লাহর রাসূল আমার এমন মনে হচ্ছে যেন আমার হার আর মাংসের মাঝখানে পিঁপড়া হেঁটে বেড়াচ্ছে রাসুল সাল্লালাহ সালাম বললেন মৃত্যুর ফেরেশতা তোমার সময় এসেছে সালাবা শাহাদা বড় শালা কথা বলতে থাকলেন আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কোন ইলাহ নেই মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আল্লাহর রসূল হাজার 978 বলতে থাকলেন বলতে থাকলেন এমনভাবে তার শরীর থেকে বেরিয়ে গেল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সালাম কে গোসল করিয়ে জানাজার পর কবর দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন.।

আরো অনেক সাহাবা সালমাকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম টিপে টিপে অনেক সাবধানে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাসূল আপনি এভাবে কেন হচ্ছেন যেন ভিড়ের মাঝে হেঁটে চলেছেন কত রাস্তা ফাঁকা পড়ে আছে আপনি আরাম করে কেন চলছেনা ইয়া রাসুলুল্লাহ উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন হিউমার আমাকে অনেক সাবধানে চলতে হচ্ছে সমস্ত রাস্তা ফেরেশতাদের দ্বারা ভরে গেছে চালাবার জন্য এত ফেরেশতা এসেছে যে আমি ঠিকমত হাঁটার জায়গা পাচ্ছিনা সুবহানাল্লাহ এই সেই সালারা যে ভুলক্রমে একটা ভুল করার জন্য এত প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন গুনাহের কাজ তো দূরের কথা মনে হয় না করেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে চেয়ে ব্যাকুল হয়েছেন অথচ ছিলেন তিনি আল্লাহ চোখে যে তাকে নেওয়ার জন্য ফেরেশতাদের আগমনে রাস্তা ভরে গিয়েছিল ওই সব ফেরেশতারা নেমে এসেছে শুধু চালাবার জন্য তার জন্য দোয়া করার জন্য তাকে নিয়ে যাবার.।

জন্য আর আমরা সারাদিন জেনে না জেনে এত ভুল করেও এত গুনাহ করেও অনুশোচনা করি না উল্টা আমাদের পছন্দমত কিছু না হলে আল্লাহর আদেশ এর উপর অসন্তুষ্ট প্রকাশ করতে থাকি বোনের নালিশ করতে থাকি একটা হাদিস আছে মুমিন বান্দার কাছে তার গুনাহ গুলো এমন যেন এখনই পাহাড় ভেঙ্গে তার মাথার উপর পড়বে আর এক জন দুর্বৃত্ত কানের কাছে এরকম মাঝে এসে তার নাকের উপর উড়াউড়ি করছে আর সে হাত নাড়িয়ে সেরা সরিয়ে দিল আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের জেনে বা না-জেনে করা গুনাহগুলো কে ক্ষমা করে দিন আমাদেরকে সঠিকভাবে মনের অন্তস্থল থেকে অনুতাপ করার ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দান করুন আমাদেরকে নিজের ভুল বুঝার আর স্বীকার করে নিয়ে খারাপ কাজগুলো থেকে দূরে থাকার তৌফিক দিন আমিন.।