হযরত মুসা আঃ ও ইবলিশ শয়তানের এক বিস্ময়কর ইসলামিক কাহিনী । islamic golpo bangla
হযরত মুসা আঃ ও ইবলিশ শয়তানের এক বিস্ময়কর ইসলামিক কাহিনী । islamic golpo bangla

শয়তান একদিন হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল আপনি আল্লাহর মনোনীত রাসূল আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার মর্যাদাও আপনি রাগ করেছেন আমি তওবা করার ইচ্ছা করছি আমার তওবা কবুলের জন্য আপনি আল্লাহর কাছে সুপারিশ করুন শয়তানের তর করার কথা শুনে খুবই খুশি হয়ে গেলেন কারণ শয়তান তওবা করলে গুনাহ সংঘটিত হবে না তাই তিনি অজু করে নামাজে মনোযোগ দিলেন তখন আল্লাহ তাআলা হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানান তোমার সঙ্গে মিথ্যা বলছে সে তোমার সঙ্গে প্রতারণা করতে চেয়েছে যদি তাকে পরীক্ষা করতে চাও তবে তাকে এ কথা বলে দেখো যে সে যেন হযরত আদম আলাইহিওয়াসাল্লাম এর কবর সেজদা করে যদি সে হজম আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরে সিজদা করতে রাজি হয় তবে আমি কার তওবা কবুল করব হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সংবাদে খুশি হলেন খুশি হওয়ার কারণ হল এটা একটা সাজানো.।
ফটো শয়তানকে এটা সহজেই কবুল করে নেবে তাই তিনি শয়তানকে আল্লাহর এ খবর পৌঁছে দিলেন তা না হলে সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেল বলল হযরত আদম থাকতেই তো সেটা করিনি এখন তার মৃত্যুর পর তাকে সেজদা করব অতঃপর শয়তান হযরত মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলল আপনি যেহেতু আমার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করে আমার প্রতি দয়া করে আমি তিনটি বিষয়ের ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক থাকতে বলছি সেসব অবস্থায় আমি মানুষের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ধোঁকা দিয়ে থাকি । সময় শয়তান মানুষকে বেশী ধোঁকা দেয় এক মানুষ যখন রেগে যায় তখন তাকে আরো বেশি বিপদগ্রস্ত আমি তার অন্তরে অবস্থান করি আর রক্তের সঙ্গে তার শিরায় উপশিরায় দৌড়াতে থাকে যখন জিহাদের ময়দানে উপস্থিত হয় কিংবা যুদ্ধ করে তখন আমি তার অন্তরে স্ত্রী-সন্তান ও সম্পদের আকর্ষণ বাড়াতে থাকে যাতে স্ত্রীর সম্পদ ও সন্তানের আকর্ষণ.।
বিহার থেকে পলায়ন করে এক্ষেত্রে কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ইসলামের যে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার জিহাদের মতোই কষ্টের শতাংশে বিষয়গুলোতে বেশি ধোঁকা দিয়ে থাকেন মানুষ যখন গাইরে মারহাম নারীর সঙ্গে একাকী থাকে তখন আমি তাদের উভয়ের সঙ্গে অবস্থান করে তাদের প্রতি অপরকে ঢুকিয়ে দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যতক্ষণ না তারা অসৎ কাজে জড়িয়ে না পরে অসৎ কাজ সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত এ প্রচেষ্টা চলতে থাকে সুতরাং মানুষের উচিত উল্লেখিত 3 অবস্থায় শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকা রাগের সময় ধৈর্য ধারণ করে চুপ থাকা প্রয়োজনে মাটিতে শুয়ে পড়া জিহাদসহ ইসলামের কঠিন বিধান পালনকালে ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যেসব নারীর সঙ্গে দেখা করা বৈধ নয় তাদের সঙ্গে একাকী অবস্থান না করা সব সময় শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর কাছে সাহায্য ও রহমত কামনা করা বিশেষ করে বেশী বেশী তওবা ।
ইস্তেগফার পড়ার যাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় ইনশাল্লাহ কাল আমাদের সর্বোচ্চ না থেকে হেফাজত করুক আমীন ।