নূহ আঃ এর যুগে যেভাবে হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিল । ইসলামিক কাহিনী Islamic ghotona । Islami Golpo
নূহ আঃ এর যুগে যেভাবে হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিল । ইসলামিক কাহিনী Islamic ghotona । Islami Golpo

নূহ আঃ এর যুগে যেভাবে হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিল । ইসলামিক কাহিনী Islamic ghotona । Islami Golpo
হযরত নূহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে কিভাবে একটি ভুলের কারণে হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিল । কিভাবে হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি হয়েছিল এবং কখন থেকে হিন্দু ধর্মের সূচনা হয় এই ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ । হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মানবজাতির সূচনা এরপর শীষ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইদ্রিস আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবী হন প্রায় ২০০ বছর পর যখনই প্রথম মানুষ আল্লাহকে অস্বীকার করে আর কিছু মানুষ আল্লাহর সাথে শরীক করে এদের দ্বারাই প্রথম মূর্তিপূজা সংগঠিত হয় মূর্তিপূজা আসলে পূজা হিসেবে শুরু হয়নি এসব হয়েছিল শ্রদ্ধা নিবেদন থেকে স্মৃতি তর্পণ থেকে নোয়ালী ওসাল্লাম এর আগে করে চারটি সবাই ছিল তাওহীদে বিশ্বাসী তারা কেবল আল্লাহর ইবাদত করত তখন পর্যন্ত বিস্তারিত শরীয়তের নাজিল হয়নি.।
প্রাথমিক সময় সভ্যতার উষালগ্ন তখন জীবন জগত ও সভ্যতার বিষয়ে আল্লাহর ওহী আসত বিস্তারিত জীবনবিধান আসতে শুরু করে হজরত নুহ এর যুগ থেকে আদি যুগের মানুষের মধ্যে শট মহত অধিক খোদাভীরুদের মৃত্যুর পর তাদের ভক্তরা শোক ও দুঃখ ভুলার জন্য এবং তাদের স্মৃতিকে জাগরুক রাখার জন্য পাথরে তাদের প্রতিকৃতি আগে পরের প্রজন্ম ছোটবেলায় দেখা সেই প্রতিকৃতি যা রোদ বৃষ্টি ঝড়ে মুছে গিয়ে ছিল সেসব খোদাই করে ভাস্কর্য তৈরি করে এর পরের প্রজন্ম আরো মমতা মিশিয়ে পাথর কেটে ছেঁটে নিপুন মূর্তি তৈরি করে তখন এসব তারা উঠান বাজার ও চত্বরে স্থাপন করেছিল পরের প্রজন্ম এসবকে উপাসনার স্থানে স্থাপন করে ঘরটিকে দেবালয় এড়ায় শুরুতে তারা আল্লাহর ইবাদত ঘরের পেছনের দেয়ালে মূর্তিগুলো ঠেস দিয়ে রাখে মূলত তারা আল্লাহর ইবাদত করত বলত এসব মূর্তি আমাদের প্রভূ নয় আমরা ইবাদত করি না আল্লাহর.।
প্রিয় বান্দা আরো মহৎ ব্যক্তিকে স্বর্ণ শ্রদ্ধার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করি মাত্র ২১ প্রজন্ম পর শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি তার পেছনে রাখা তার তাদের ভালো লাগেনি ইবাদৎখানা সামনের দেয়ালে এসব মূর্তি স্থাপিত হয় হযরত নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে ক্রমান্বয়ে প্রচলিত শিরক এর প্রথম সংশোধনকারী ৫০ বছর তিনি এসব মানুষকে হেদায়েতের দাওয়াত দিয়েছিলেন কিন্তু খুব সামান্য লোকে তার ডাকে সাড়া দেয় বাকি সব মানুষ তাদের বাপ দাদার সংস্কৃতি ও মনগড়া শিরকি চেতনার স্বার্থের সম্মত হয়নি মহান আল্লাহ বিষয়টি এভাবে বলেছেন তাদের নেতারা বলল তোমরা নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথায় তোমাদের দেবতাদের ত্যাগ করো না তোমরা ছেড়ে দিও না একচুয়ালি আগস্ট ইয়াহু কোন আসরকে সূরা নূর আয়াত ২৩ । হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু বলেন কুরআনে বর্ণিত ওয়াজ শোনা শুরু হচ্ছে.।
আলী হোসেন নামের কর্মের কিছু মহৎ লোকের নাম তাদের মৃত্যুর পর শয়তান জনগণকে বোঝালো তুমি এসব ব্যক্তির বৈঠকখানার পাশে একটি ভাস্কর্য তৈরি করো প্রতিটি ভাস্কর্যকে তোমরা সেই মহৎ ব্যক্তির নামে নামকরণ করবে অতএব তারা শয়তানের প্ররোচনায় ভাস্কর্য তৈরি করল বটে কিন্তু কোনদিনই সেগুলো উপাসনা করে নি অবশ্য কিছুদিন পর নতুন প্রজন্মের লোকজন মুক্তি ও স্মৃতির সীমা লংঘন করে এসব মূর্তির উপাসনা শুরু করে সহি বুখারী মূর্তিপূজা প্রথম উপাসনা বা পূজা হিসেবে শুরু হয়নি হয়েছিল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এর মাধ্যমে স্মৃতি তর্পণ এর মাধ্যমে ওজোন স্তরে সব ভাস্কর্য ও মুহূর্তে আল্লাহর আসন দখল করে নেয় নাউজুবিল্লাহ আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে রাত পর্যন্ত পৃথিবীতে ভরপুর ছিল মানব জাতি ছিল শিরক মুক্ত মহৎ লোকের ভাস্কর্যই ঈমানদার মানবজাতির জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো এই ঘটনার সাথে একটা বিষয় নিয়ে কথা না বললেই নয় সেটা হলো আমরা অনেকেই আছে যা.।
হচ্ছে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে থাকি অনেক ভাস্কর্যের সামনে ফুল দিয়ে থাকি যেমন শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের সামনে আমরা অনেকেই ফুল দিয়ে থাকি এখন প্রশ্ন হল এটা করলে কি আমাদের ঈমান চলে যাবে আমরা হয়তোবা অনেকেই জানিনা এটার সঠিক উত্তর আমাদের সবারই এটা সম্পর্কে জানা উচিত আমাদের জানা জরুরী যে ইসলামের দৃষ্টিতে কোন মুসলিম মৃত্যুবরণ করলে চাই স্বাভাবিক মৃত্যু হোক বা জিহাদের ময়দানে শাহাদাতবরণ করুক অথবা অন্যায় ভাবে জুলুমের শিকার হয়ে মৃত্যু হোক তার জন্য কি কি করনীয় তার নির্দিষ্ট করা আছে যেমন তাদের জন্য দোয়া করা তাদের পক্ষ থেকে গরীব অসহায় মানুষকে দান সদকা করা ও জনকল্যাণমূলক কাজ করা সদগায়ে জারিয়া মূলক কার্যক্রম করা তাদের উদ্দেশ্যে হজ উমরা আদায় করা ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে তারা কবরে উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ পক্ষান্তরে তাদের স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে তথাকথিত স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ বীর শহীদ মিনার নির্মাণ করা.।
ফুল নিবেদন করা ও সেনাবাহিনী কর্তৃক সেলুট জানান তাদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা মোমবাতি জ্বালানো জালানো শিখা অনির্বাণ শিখা চিরন্তন প্রজন্ম ইত্যাদি হল অমুসলিমদের সংস্কৃতি ও মুসলিম সংস্কৃতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ মুসলমানরা অবলীলাক্রমে তাদের অন্ধ অনুকরণ বর্ধন পালন করে থাকে ইসলামের সাথে এগুলো দ্রুততম কোন সম্পর্ক নাই অথচ ইসলামে অমুসলিমদের অনুসরণ অনুকরণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ইবাদতের ক্ষেত্রে হোক অথবা আচার-আচরণ ও পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস কৃষ্টি-কালচারের ক্ষেত্রে হোক কেননা হাদীসে এসেছে আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে.।
সুনানে আবু দাউদ এছাড়াও হাদিসে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কেয়ামতের পূর্বে অনেক মুসলিম ইহুদী-খ্রিস্টানদের রীতি-নীতি অনুসরণ করবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বর্তমানে যার বাস্তব প্রতিফলন আমরা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছি আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে এই সকল শিরকমূলক কাজ অন্যায় কাজ থেকে দূরে রাখুক এবং এই সকল বিষয় সম্পর্কে বোঝার তৌফিক দান করুক আমীন ।