Islamic Post

জাহান্নামের ফেরেশতা | মালেক (আঃ) এর কাহিনী

জাহান্নামের ফেরেশতা | মালেক (আঃ) এর কাহিনী

প্রিয় দর্শক শ্রোতা বন্ধুরা আশা করছি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন আজকে আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি দোযখের দারোগা ফেরেশতা মালিক আলাই সাল্লাম কে নিয়ে.

মালিক আলাইহিস সালাম তিনি দোযখের দারোগা ইহারই উপরে দু চোখের যাবতীয় ফেরেশতার দায়িত্ব অর্পিত আছে সাতটি দোযখের অধিবাসী দিকে শাস্তি প্রদানের জন্য মাত্র 19 জন ফেরেশতা নিযুক্ত আছে মালিক ফেরেশতারা তাদের নেতা ইহারমনির অভিশন আকৃতি ফেরেশতা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে আর কি হইনি হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমি মাঝরাত্রে জিবরাইল ফেরেশতা সাত আসমান অতিক্রম করে যাওয়ার পর এক জন অতিশয় কদাকার অভিশন আকৃতির ফেরেশতা দেখতে পাই এমন বিরাট আকৃতিবিশিষ্ট যে তারেক কাদতে অপরাধে পর্যন্ত পৌঁছাতে একজন লোকের 1000 বছরের প্রয়োজন হবে তার মত বিরাট ও কদাকার ফেরেশতা আমি তৎপূর্বে আর কখনো দেখিনি আমি জিবরাইল ফেরেশতা.

উহার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন এর নাম মালিক ফেরেশতা এর উপরে দোযখের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অর্পিত আছে হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমি মালিক ফেরেশতার নিকটবর্তী হয়ে বললাম আসসালামুয়ালাইকুম কিন্তু সে কোন উত্তর দিল না তৎক্ষণাৎ আল্লাহর তরফ হতে আদেশ হল ফেমালে আমার প্রিয় বন্ধু তোমার সামনে উপস্থিত হয়ে তোমাকে সালাম জানিয়েছেন অথচ তুমি তার উত্তর না দিয়ে ভয়ানক বেয়াদবি করছো ফেরেশতা তখন তাড়াতাড়ি আমার সালামের জবাব দিয়ে অত্যন্ত ভক্তি ও সম্মানের সহিত বলল ইয়া রাসুলাল্লাহ সাঃ আমি যাবতীয় পয়গাম্বরের নিয়ে তারা সকল উম্মতের উপরে আপনার উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব আমি তাকে বললাম হিমালয় দুঃখের বিষয় কিছু বর্ণনা করুন যাতে আমি.

সম্পর্কে উম্মতকে সতর্ক করতে পারে মালিক বললেন ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুচোখের শাস্ত্রীর প্রকৃত অবস্থা দর্শন করার ক্ষমতা আপনার নেই তৎক্ষণাৎ আল্লাহর তরফ হতে আদেশ হল ফেমালে আমার হাবিব যা কিছু জানতে চান তার সব তাকে সুন্দরভাবে বর্ণনা করে শোনাও আল্লাহতালার আদেশে মালিক ফেরেশতা বললেন ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এর প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আকাশ ও পাতালের দূরত্বের সমান ইহা এমন ভীষণ অগ্নিতে পরিপূর্ণ পরিমানও যদি এক পর্বতের উপর স্থাপন করা যায় তবে সম্পূর্ণ পর্ব হয়ে দোযখের অগ্নি পুনরায় দুচোখে চলে যাবে.

প্রত্যেকটির ভিতরে ৭০০০০ করে অগ্নি পর্বত আছে প্রত্যেকটি পর্বতের শহীদ ৭০০০০ করে দরজা আছে প্রত্যেক দরজার ভেতরে ৭০০০০ করে গৃহ আছে প্রত্যেক গৃহের ভেতরে ৭০০০০ করে কক্ষ আছে প্রত্যেক কক্ষের ভেতরে ৭০০০০ করে বিরাট অগ্নির সিন্দুক আছে প্রত্যেক সিন্দুকের ভীতর ৭০০০০ করে বড় বড় সাপ ও বিচ্ছু আছে সেইসকল সাপ-বিচ্ছু একবার দংশন করলে হাজার বৎসর পর্যন্ত ইহার যন্ত্রণা অব্যাহত থাকবে অথচ উহার প্রত্যহই দুচোখে সেদিকে দংশন করতে থাকবে এই ভিশন যন্ত্রণাদায়ক কারো মৃত্যু হবে না এতদূর সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর পাক কুরআন মাজিদে ঘোষণা করেছেন আমুতু ওয়াহিয়া অর্থাৎ সেখানে তাদের কারো মৃত্যু হবে না অথচ তারা বাঁচার মত করে.

দুচোখের কত অংশ যেমন অগ্নিতে পরিপূর্ণ ঠিক তেমনি কত অংশ বরফে পরিপূর্ণ প্রতি বৎসর দুবার নিঃশ্বাস পরিত্যাগ করে একটি গভীর নিঃশ্বাস এবং অপরটি বরফের নিঃশ্বাস এ আল্লাহর প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অগ্নি একটুকরো যদি দুনিয়ার সর্ব শেষ প্রান্তে স্থাপন করা হয় তবে উহার উত্তাপ এই দুনিয়ার যাবতীয় বস্তু পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে সেদিকে যে পোশাক পরিধান করানো হবে তার এক টুকরা কাপড় যদি দুনিয়ার এক প্রান্ত ঝুলিয়ে দেয়া হয় তবে উহার দুর্গন্ধে দুনিয়ার যাবতীয় জীবজন্তু হয়ে যাবে উত্তাপে অস্থির হয়ে একটু শীতল বাতাস প্রার্থনা করলে তাদের জন্য এক প্রকার ভিশন উত্তাপ ও দুর্গন্ধময় বিষাক্ত বায়ু প্রবাহিত করা হবে সে বায়ুর তাদের শরীরের.

আমার সর্বাঙ্গে ভীষণ যন্ত্রণা আরম্ভ হয়ে যাবে সেদিকে একপ্রকার কন্ঠে অগ্নি বৃক্ষের ফলাহার করতে দেয়া হবে অধিক প্রজেক্ট এক টুকরা যদি সমুদ্র নিক্ষেপ করা হয় তবে সমুদ্রের সমস্ত প্রাণী তৃপ্ত হয়ে যাবে দু চোখ দিয়ে জল দ্বারা বন্ধ করা হবে একখণ্ড যদি কোন পাহাড়ের উপর স্থাপন করা যায় তবে পাহাড়পুরে ভদ্র হয়ে দোযখের অগ্নি 2 প্রস্থান করবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাস্তি সম্পূর্ণ বর্ণনা করা আমার সাধ্যের অতীত যেটুকু বলেছি তাতে 1% প্রকাশ করা সম্ভব হলো না হযরত আদম আলাই সালাম এর খাদ্য পাক করার জন্য জিবরাইল ফেরেশতা আমার নিকট একটু অগ্নি পেয়েছিলেন আমি তাকে এক্স ওড়িশা পরিমাণ অগ্নি প্রদান করলে তিনি তা নিয়ে পর্বতের উপরে রেখে দিয়েছিলেন পর্ব.

অসহায় মূল অগ্নি টু কুক পুনরায় দুচোখে চলে গিয়েছিল সে অগ্নির যে ধোঁয়া অবশিষ্ট ছিল তা হতেই দুনিয়ার সব ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে কোরআন মাজিদে আল্লাহ তালা বলেছেন যে দুজন অস্থির হয়ে একটু ঠান্ডা পানি প্রার্থনা করলে তাকে এমন উত্তপ্ত ও দুর্গন্ধময় পানি পান করতে দেয়া হবে যে পান করা মাত্র তাদের পেটে ভীষণ যন্ত্রণা আরম্ভ হবে এবং তার পেটের যাবতীয় নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসবে উত্তাপে অস্থির হয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলে তাদের উপরে যে বৃষ্টি বর্ষণ করা হবে তা ভীষণ উত্তপ্ত হবে উহার প্রত্যেক ফোটা পানি শরীরের ভিতরে বন্দুকের গুলি নেয় প্রবেশ করবে এবং শরীরে ভীষণ জ্বালা সৃষ্টি করবে ততই সেই বৃষ্টির সঙ্গে অসংখ্য সাপ-বিচ্ছু পতিত হবে তাদের শরীর দংশন করতে থাকবে যে সকল অভিযোগ.

এত বিষাক্ত হবে যে একবার দংশন করলে সহস্ত্র বৎসর পর্যন্ত তারা জ্বালা অব্যাহত থাকবে অথচ প্রতি মুহূর্তেই তারা দুজনই দেরকে দংশন করতে থাকবে আল্লাহ তায়ালা সর্বমোট কতটি দুজক সৃষ্টি করেছেন সেগুলো যথাক্রমে একটি অপরটির স্থাপিত একটি অপরটির দূরত্ব একটি দ্রুতগামী সহস্ত্র বৎসরের রাস্তার সমান একটি দুর্যোগ হতেই অপরাধীরা লাভের পরিমাণ যথাক্রমে ৭০ গুণ করে বেশি অধিক নিম্নে অবস্থিত সেটির আজাবের পরিমানও ততবেশি প্রথম দোযখের নাম পাপিয়া যাবতীয় কাফের ও মুনাফিকদের এই দুচোখে পাস করবে দ্বিতীয় দুচোখের নাম সায়ন এই দুচোখে অবস্থান করবে তৃতীয় দোযখের নাম সাকার দেবদেবীর মূর্তি উপাসক দুচোখের অধিবাসী হবে চতুর্থ দোযখের নাম.
শয়তান তার দলবল অগ্নিদগ্ধ হন এই দুচোখে পাস করবে পঞ্চম দোযখের নাম ইহুদিদের জন্য নির্দিষ্ট দোযখের নাম রাজা খ্রীষ্টানগণ এই দুচোখে নিক্ষিপ্ত হবে সপ্তম দুচোখের নাম মালিক ফেরেশতা এই পর্যন্ত বলে নীরব হলে হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বললেন হিমালয় সপ্তম দোযখের অধিবাসী কারা ফেরেশতা একটু ইতস্তত করে উত্তর করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার উম্মতের মধ্যে যারা মহাপাপ করে বিনা তৌবা এ দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করবে তারাই এই দোযখের অধিবাসী হবে হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা শ্রবণ করে অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে প্রমাণ করতে লাগলেন কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে বললেন হে মালিক আমার উম্মত.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button