Islamic Post

হযরত ফাতিমা রাঃ এর ইন্তেকালের দিন সকালে কি ঘটেছিলো? সকল মুসলিমের জানা উচিৎ

হযরত ফাতিমা রাঃ এর ইন্তেকালের দিন সকালে কি ঘটেছিলো? সকল মুসলিমের জানা উচিৎ

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে গেলেন এদিকে হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা অত্যন্ত জ্বর থাকা অবস্থায় ঘরের সমস্ত কাজ শেষ করেছেন আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু মসজিদ থেকে এসে দেখলেন ফাতেমা কাঁদছেন তিনি প্রশ্ন করলেন ফাতেমা কাদছো কেনো ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা কোন উত্তর না দিয়ে তখনও আরো জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কয়েকবার প্রশ্ন করার পর মা ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে বলল আমি স্বপ্নের মধ্যে দেখেছি আমার আব্বাজান হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমার ঘরের মধ্যে ঢুকে কিজন্য তালাশ করছেন ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আমি পেছন দিক থেকে আমার আব্বাজান কে ডাক দিলাম ও আব্বাজান আপনি কি তালাশ করছেন আব্বাজান তখন বললেন ও আমার ফাতিমা আমি তো তোমাকেই তালাশ করছি তোমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও বললেন ও আমার ফাতেমা আজকে তো তুমি রোজা রাখবে সেহরি করবে আলীর দস্তরখানায়.।

ইফতার করবে আমার দস্তরখানায় তখন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এইসব গান শোনার পর দুজনে বুঝতে আর বাকি থাকল না যে ফাতেমার ইন্তেকাল করলেন দুজনে আরো জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন এই সময়ের মধ্যে হযরত হাসান এবং হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এসে তারা জিজ্ঞাসা করলেন আব্বাজান আম্মাজান আপনারা কেন কান্না করছেন ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর একটি অভ্যাস ছিল যখন হাসান-হোসাঈন তাকে কোন গাছে বিরক্ত করতেন তখন দুইজনকে নানাজানের কবরের কাছে যেতে বলতেন আজকেও ফাতেমা বললেন তোমরা দুই ভাই আমার কবরের আযাব কবরের নিকট যাওয়ার সাথে সাথে কবর থেকে আওয়াজ আসলো আমার আদরের নাতিরা এই মুহূর্তে তোমরা আমার কাছে কেন এসেছ আমার কাছে তো সব সময় আসতে পারবে এখন যাও গিয়ে মায়ের চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকো আজকের পর তোমাদের আম্মাজানকে আর দেখতে পাবে না এই কথা শোনার পর দুই ভাই কাঁদছেন এবং দৌড়াতে দৌড়াতে আমাজানের কাছে চলে গেল গিয়ে আম্মাজান কে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার.।

কেন কাঁদছো বুঝেছি নানাজান আমাদেরকে বলে দিয়েছেন যে আজকের দিনটি তোমার জন্য শেষদিন নানাজান তোমার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য আমাদেরকে বলেছেন বিকেলের দিকে হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা তার শরীর খারাপ হলে তাকে বিছানায় শোয়া নগদ মা ফাতেমার মৃত্যুর পূর্বকনে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তাকে তিনটি কথা বলেছেন ওয়ালি আমার প্রথম কথা হচ্ছে যে দিন থেকে আমি আপনার ঘরে এসেছি ঐদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন তাহলে কি আমার কারনে আব্বাজান অনেক লজ্জিত হবেন বলেন আপনি আমাকে ক্ষমা করলেন কিনা আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তিনি তখন উত্তরে বললেন ফাতেমা তুমি কি বলছ এগুলো আমি তোমার যোগ্য ছিলাম না তোমার আব্বা জান দয়া করে মেহেরবানী করে তোমার হাত আমাকে দিয়েছেন বিয়ের দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি আলী তোমাকে ঠিকমতো দুবেলা খাবার খাওয়াতে পারিনি ও ফাতেমা তুমি এবং.।

আমাকে ক্ষমা করেছ কিনা তুমি যদি ক্ষমা না করো তাহলে আমাকেও কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে ওয়ালি আপনার সাথে আমার দ্বিতীয় কথা হল আমি মারা যাওয়ার পর আপনি বিয়ে করে নেবেন দুনিয়ার যেকোন মহিলাকে আপনার পছন্দমত আমি আপনাকে অনুমতি দিলাম আর আমার বাচ্চা 2tk সপ্তাহে একদিন আপনার কোলে নিয়ে ঘুমাবেন আপনার সাথে আমার তৃতীয় কথা হল আসানসোল যখন বড় হবে তখন তোদের দুই ভাইকে আল্লাহর রাস্তায় সোপর্দ করে দেবেন এবং আমাকে রাতের বেলায় তা ফোন করবেন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বললেন তুমি নবীর আমি সবখানে খবর দিয়ে তোমায় দা ফোন করবো এতে সমস্যা কী হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তিনি এর উত্তরে বললেন আমার কাপড়ের উপর দিয়ে সবাই অনুমান করবে নবীর মেয়ে কতটুকু লম্বা ছিল কতটুকু স্বাস্থবান ছিল এতে আমার পর্দা ভঙ্গ হবে মা ফাতেমার মৃত্যুর পর তার লাশের খাটিয়া বহন করার মানুষ মাত্র তিনজন ছিলেন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু.।

এবং ছোট হাসান এবং হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হযরত আলী ভাবছেন যে লাশের খাটিয়া বহন করার আরও একজনের প্রয়োজন হবে তাহলে চার কোণায় চারজন কাঁধে নিতে পারবেন এমন সময় হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তিনি হঠাৎ করে উপস্থিত হলেন এবং খাটের কোনা বহন করবেন হযরত আলী প্রশ্ন করলেন আমি তো কাউকেই বলিনি তাহলে আপনি জানলেন কিভাবে আবুজার গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন আমি আল্লাহর রাসূল সাঃ কে স্বপ্নে দেখেছি তিনি বললেন হে আবু সামার ফাতেমার লাশ বহন করার জন্য লোকের অভাব তুমি তাড়াতাড়ি চলে যাও ওয়ালি আমাকে তো হুজুর সাঃ আসতে বলেছে তাই আমি এসেছি তোমরা তো আমাকে বলোনি রাতে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বপ্নে বলে গিয়েছেন হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে যখন কবরে নামাচ্ছেন তখন হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কবরের কাছে গিয়ে কবর কে উদ্দেশ্য করে বললেন কি খবর তুই কি জানিস.।

আজকে তোর মতে কাকে রাখছি উন্মোচন জান্নাতের সকল মহিলাদের সরদার হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর কবর থেকে কোনও আওয়াজ আসলো না তিনি আবারও বললেন উনি হাসান এবং হোসেনের আম্মা জান এবারও আগের মত কোন আওয়াজ আসলো তিনি আবার পুনরায় বললেন উনি হচ্ছেন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর স্ত্রী তার পর কবর থেকে কোনও আওয়াজ আসলো না তিনি আবার বললেন এটি দোজাহানের বাদশা নবী খবরদার বেয়াদবি করবেন আল্লাহ তা’আলা তখন কবরের জবান খুলে দিলেন কবর বলল আমি অন্ধকার ঘর আমি সাব্বির যোখন আমি এমন একটি ঘর যার মধ্যে কোন বংশ পরিচয় কাজ হয় না আমি দোজাহানের বাদশা মেয়েকে চিনি না আমি হযরত আলীর স্ত্রীকে তিনি না হাসান হোসেনের আম্মা কেউ চেনে না আমি জান্নাতের মহিলাদের সর্দারনী কেউ চিনে না আমি শুধু চিনি ঈমান এবং আমল আমার মধ্যে যদি কেউ ভালো আমল নিয়ে আসে তাকে আমি কবরের জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দেব আর যদি কেউ খারাপ আমল.।

ইউসি তাকে আমি কবরের দুই দিক থেকে এমন জোরে চাপ দেবো যাহার মাংস মাটি সব একত্রে মিশিয়ে যাবে আল্লাহু আকবার মানুষ জন্মালে মৃত্যুবরণ করতেই হবে মৃত্যু কখনো বলে কয়ে আসে না মৃত্যু কখনো ধনী-গরীব দেখে হয় না প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button