Islamic Post

মৃত্যুর পর কবরে নামানো পর্যন্ত ফেরেশতারা লাশের সাথে কি করে ?

মৃত্যুর পর কবরে নামানো পর্যন্ত ফেরেশতারা লাশের সাথে কি করে ?

মৃত্যুর পর কবরে নামানো পর্যন্ত ফেরেশতারা লাশের সাথে কি করে তার সকল মুসলমানের জানা উচিত আর যখন আত্মা কবজ করে নেন তখন এত দেহকে বলে হে দেহ আল্লাহ তোমাকে সুখ প্রতিদ্বন্দ্বী তুমি আমার সঙ্গী হয়ে আল্লাহর আনুগত্যে অগ্রগামী ছিলে আর আল্লাহর অবাধ্য ছেলে খুবই পশ্চাৎপদ তুমি আমার পক্ষ থেকে মুবারকবাদ গ্রহণ করো কেননা আজ তুমি নিজেও মুক্তি পেয়েছে আর আমাকেও না যা দিয়েছো এই ভাবে দেহ আপনাকে মোবারকবাদ দেয় মুমিন বান্দার মৃত্যুতে জমিনের যেসকল অবশেষে এবাদত করত সেগুলো কাঁদতে থাকে আকাশের দৃশ্য দুই হাত দিয়ে তার নেক আমল উপরিউক্ত সে সকল দুয়ার তার জন্য কাঁদতে থাকে যে দরজা দিয়ে তার রিজিক নেমে আসতো সেই দরজাতে আকাশ-জমিনের ক্রন্দন দীর্ঘ ৪০ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে মালাকুল মউত যখন তার আত্মা কবজ করে নেয় তখন তার দেহের হেফাজতের জন্য সেখানে পাঁচশত ফেরেশতা দাঁড়িয়ে থাকে যদি কেউ তার লাশের পাশে থাকতে চাই.।

তখন ফেরেশতারা ওই কাজে মানুষের সহযোগিতা করে এমনকি কাপড় পরিধান এবং সুগন্ধি মাখানোর কাজেও ফেরেশতারা অংশ নেয় লাশের সম্মানার্থে ফেরেশতারা দুই সারি করে ঘর থেকে কবর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে জানাজা পর্যন্ত অতিক্রম করে তখন তারা অভ্যর্থনা জানায় তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে মুমিনের মর্যাদার এই অবস্থা দেখে ইবলিশ এতো জোরে চিৎকার করে ওঠে যে তার দেহের হাড়ের কোন কোন গ্রন্থির বন্ধন এই সময়ে ফিরে যায় সে আক্ষেপের সাথে তার সঙ্গীদের বলতে থাকে তোমাদের সর্বনাশ লোক এই বান্দা তোমাদের হাত থেকে কিভাবে ফসকে গেল সঙ্গীরা বলে নিষ্পাপ ছিল তাই আমাদের ফাঁদে আটকা এলে মালাকুল মউত যখন তারা আপনাকে নিয়ে আকাশে আরোহন করে তখন হযরত জিব্রাইল আলাই সাল্লাম 70 হাজার ফেরেশতা নিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানায় আর সকল ফেরেশতারা তাদের কাছে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি সুসংবাদ জানাতে থাকে মালাকুল মউত যখন আপনাকে নিয়ে আসছেন নিকট পৌঁছে তখন সে আল্লাহ তাআলার কাছে সিজদায় পতিত হয়ে যায় আর সেই সময় আল্লাহতালা.।

করেন এ মালাকুল মউত তুমি আমার বান্দা কে নিয়ে জান্নাতের বাগানে রেখে আসার পর তাকে কবরে নামার পর নামাজ তার ডান দিকে এবং রোজাদার বাম দিকে এসে দাঁড়িয়ে যায় আল্লাহর রিজিক এবং কুরআন তেলাওয়াত এসে দাঁড়িয়ে যায় তার স্তনের দিকে পায়ের দিকে দাঁড়িয়ে যায় জামাতের সাথে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে গমন করে অবস্থান নেয় এ সময় আল্লাহ তাআলা তার কবরে আজাবের একটি অংশ প্রেরণ করেন আজ আপনি এসে কবরের ডানদিক থেকে প্রবেশ করতে চাই কিন্তু নামাজ এসে তাকে বাধা দিয়ে বলে আজ আমি পিছিয়ে যাওয়া খোদার কসম এই বার্তাটি সারা জীবন কষ্টে ছিল কবরে আসার পর তার কিছুটা আরাম মিলেছে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন আজাব যখন ডান দিক থেকে সরে গিয়ে বাম দিকে যায় ডানদিকে রোজা-নামাজের মত আজাদকে জবাব দিয়ে প্রতিহত করে আজ আবার মাথার দিক থেকে আসতে চেষ্টা করলেও একই রকম জবাব আসে মোটকথা আজাব দিয়ে দিক থেকেই আসতে চায় সেদিকে তাকিয়ে তার.।

প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় অবশেষে আজাব যখন দেখে আল্লাহ তায়ালারই নেক বান্দারা মূল সবদিক থেকেই তার জন্য প্রতিবন্ধকতার দেয়াল সৃষ্টি করে রেখেছে তখন সে ফিরে যায় আর সেই সময়ে অবরোধে নেক আমলসমূহ কে বলতে থাকে এই আজাবের প্রতিরক্ষায় আমি এই জন্য আসিনি যে মূলত তোমাদের শক্তির পরিমাণ দেখা আমার উদ্দেশ্য ছিল আমি যদি তাকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হতাম তাহলে আমি অবশ্যই এসে এই বান্দাকে আযাব থেকে রক্ষা করতাম তোমরা যখন যথেষ্ট হয়ে দাঁড়ালে তখন আমি বান্দ্রার জন্য অতিরিক্ত সঞ্চয় হয়ে রয়ে গেলাম ফুলসিরাতে মিজানে আমাদের কাজে আসব এরপর এই বান্দার কাছে দুজন ফেরেশতা আসে যাদের চোখ নীল বর্ণের আওয়াজ ভয়ঙ্কর গরুর শিং এর নেতা এবং তার স্বামীর সাথে নাসারন্ধ্র দিয়ে অগ্নিশিখা বের হয় পুলিশ তাদের উভয়ের কাদের মধ্যবর্তী স্থান খুবই প্রশস্ত তারা মুমিন বান্দার ছাড়া কারো উপর দয়া করতে জানেনা দুইজন ফেরেশতা কি মুনকার-নাকির বলা হয় এদের হাতে হাতুড়ি থাকে.।

এটি এত ভারী যে সকল মানব দানব মিলে একত্রিত হলেও তা উত্তোলন করতে সক্ষম হবে না এই দুইজন ফেরেশতা কবরের প্রবেশ করে লাশকে বলে উঠে বস তৎক্ষণাৎ উঠে বসে এবং কাফনের কাপড় খুলে যায় ফেরেশতা তখন জিজ্ঞাসা করেন তোমার প্রভুকে তোমার ধর্ম কি এবং তোমার নবীকে এর জবাবে সে বলে আমার রব হলেন আল্লাহ তা’আলা তাঁর কোন অংশীদার নেই আমার ধর্ম ইসলাম আর হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেন আমার নবী তারপর আর কোন নবীর আগমন হবে না পেরে তারা জবাব শুনে বলল তুমি সত্য বলেছ অতঃপর কবরকে চারদিক থেকে প্রশস্ত করে বলেন তুমি উপরের দিকে একটু তাকিয়ে দেখো উপরে তাকায় তখন আকাশের সীমানা পর্যন্ত তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে ফেরেশতারা বলে আল্লাহর বন্ধু এটা তোমার আবার স্তরের ঠিকানা আল্লাহর আনুগত্যের বিনিময় তুমি এটা পেয়েছো এই পর্যায়ে এসে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন এই সরকার.।

যার মুঠোয় আমার প্রাণ মুমিন বান্দার তখন এতই আনন্দ অনুভূত হয় যা কখনো শেষ হবার নয় অতঃপর ওই বান্দাকে আবার নির্দেশ দিয়ে বলা হয় যে তুমি নিজের দিকে তাকান নিচের দিকে যখন তাকাই তখন সে দশকের শেষ সীমানা পর্যন্ত তার দৃষ্টিগোচর চলে আসে তখন তাকে বলে আল্লাহর প্রিয় পাত্র এই ভয়ানক নরক থেকে তুমি নাজায়েজ রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন ওই সময় এমন পুলক হয় যা কখনো সমাপ্ত হবার নয় অতঃপর স্বর্গের ৭৭ টি দরজা তার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এই সফটওয়্যার দিয়ে জানাতে সৌরভ এবং সুশীতল সমিরন তার কবরে পৌঁছাতে থাকে এবং ততদিন পৌঁছাবে যতদিন সে কবরে থাকবে রাসুলুল্লাহ সাঃ আলোচনার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বলেন এরপর আল্লাহ তাআলা মালেকুল মোত কে নির্দেশ দিয়ে বলেন তুমি আমার দুশমনের নিকট চাপ এবং তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো আমি প্রাচুর্যের সাথে থাকে রুযী দিয়েছি সীমাহীন নিয়ামতের বারিপাত করেছে তার.।

কিন্তু সে আমার সাথে শুধু অবাধ্যতাই করে ফেলেছে এবারে দুশমনকে আমার সামনে হাজির করো মালাকুল মউত আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে এমন কোথাকার বেশি ওই বানান নিকট আগমন করে যে কেউ কোনদিন এমন ভয়ঙ্কর আকৃতি দেখেনি তার বারোটি চোখ থাকে তার কাছে এমন একটি লৌহ শলাকা থাকে তার শাখাও কাটাবে সাথে আরও ৫ জন ফেরেশতা থাকে এদের প্রত্যেকের সাথেই থাকে জাহান্নাম থেকে নিয়ে আসা আগুনের চাবুক মালাকুল মউত অবাধ্য বান্দাকে চাবুক দিয়ে এমন ভাবে আঘাত করে যে প্রতিটি কাটা তার সারা শরিরের দেহ তন্ত্রের মুগ্ধ হয়ে যাই অথপর সিটির পাকিয়ে টেনে বের করে এবং তার পায়ের নখের তলদেশ থেকে পর্যন্ত আর তাকে বের করে নিয়ে আসে তারপর ছেলেটি তার উভয়ের পায়ের গোড়ালিতে ঢুকিয়ে দেয়া হয় তখন আল্লাহর দুশমন এড়াতেই কষ্ট হয় যে বেদনা এসে কাজ চলতে থাকে এমন সময় বাকি ফেরেশতারা তাদের হাতের চাবুক দিয়ে তার মুখমন্ডল এবং পশ্চাদ্দেশে অনবরত প্রহার করতে থাকে।

এই সময় তার আত্মাকে তেলে সারা দেহ থেকে গোড়ালিতে নিয়ে আসা হয় স্বাস্থ্যের এই পর্যায়ে সালাকাটি তার হাটুতে ফোটানো হয় তখন সে বেদনায় ছটফট করতে থাকে এমন সময় ফেরেশতারা আবার আগুনের চাবুক দিয়ে তার মুখ এবং নিতম্বে মারতে শুরু করে হাঁটু থেকে সালাকাটি বের করে ঢোকানো হয় তার নিতম্ব দেশে অতঃপর বুকে এবং সবশেষে কণ্ঠনালীতে তারপরও পূর্বের মতোই সেটিকে টেনে বের করা হয় এরপর ফেরেশতারা জাহান্নাম থেকে সংগ্রহ করা অঙ্গার তার থুতনির নিচে বিছিয়ে দেয় এবং বলে অপবিত্র আক্তার তুমি বেরিয়ে এসো তুমি থাকবে প্রখর বাষ্পে উত্তপ্ত পানিতে এবং ধুম্র কুঞ্জ ছায়ায় শীতল নয় এবং আরামদায়ক নয় সূরা ওয়াকিয়া ৪২ থেকে ৪৪,। আল্লাহু আমাকে এবং সবাইকে বোঝ দান করুন আমীন ওসি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ সবাইকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button