Islamic Post

পাপীদের কবরের জীবন কেমন হবে । ইসলামিক কাহিনী ওয়াজ । islamic ghotona bangla

পাপীদের কবরের জীবন কেমন হবে । ইসলামিক কাহিনী ওয়াজ । islamic ghotona bangla

পাপীদের কবরের জীবন কেমন হবে । ইসলামিক কাহিনী ওয়াজ । islamic ghotona bangla

 

আসসালামুয়ালাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন , আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমিও ভালো আছি আজকের আলোচনার বিষয় হলো মৃত্যুর পর পাপিষ্ঠ পাপীদের কবরের জীবন কি রকম হবে তাদের সম্পূর্ণ কবরের জীবন সম্পর্কে ।  চলুন শুরু করা যাক ,কাফের বা পাপী ব্যক্তি যখন দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণের সময় হয় তখন কালো বর্ণের একদল ফেরেশতা এসে উপস্থিত হন তাদের সাথে থাকে দুর্গন্ধযুক্ত কাপড় চোখের দৃষ্টির যতদূর যায় তারা.

তারপর মৃত্যুর ফেরেশতা এসে তাকে বলেন ওই অপবিত্রতা বেরিয়ে আয় আল্লাহর কোন অসন্তুষ্টির দিকে কাফের বাপির আর তাদের মাঝে পালাতে চেষ্টা করে কিন্তু ফেরেশতা তাকে এমনভাবে টেনে বের করেন যেমন ভাবে লোহার পেরেক কে ভিজা পশমের মধ্য থেকে টেনে বের করা হয় তার রুহ বের হওয়ার সময় শরীরের রোগ সমূহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারপর উপরে আকাশ ও জমিনের মধ্যকার সকল ফেরেশতা করতে থাকেন আকাশের দরজা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রত্যেক দরজার ফেরেশতাগণ আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেন যাতে ওই ব্যক্তির গ্রুপ তাদের দরজা দিয়েননা উঠানো হয় তার রূপকে দুর্গন্ধযুক্ত কাপড়ের রাখা হয় তা থেকে মরা পচা মৃতদেহের দুর্গন্ধ দুর্গন্ধ বের হতে থাকে ফেরেশতাগণ তাকে আকাশের দিকে.

থাকেন যেখান দিয়ে এই গমন করেন সেখানকার ফেরেশতাগণ জিজ্ঞেস করেন এই অপবিত্র আত্তাক আর উত্তরে ফেরেশতাগণ অতি মন্দনা উচ্চারণ করে বলতে থাকেন অমুকের পুত্র অমুক আকাশে পৌঁছালে তার জন্য আকাশের দরজা খুলতে বলা হলে আকাশের দরজা খোলা হয় না অতএব রাসুলে পাক সাঃ বলেন না তাহলে আমাকে বলুন আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে দিনমজুরি নিন তাদের জন্য আকাশের দরজাসমূহ খোলা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ.

করতে পারবে না যে পর্যন্ত না সুচের ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে সূরা আরাফ আয়াত ৪০ ,তারপর বলা হয় সাত জমিনের নিচে সিজি নেতার নাম লিখে দাও এবং তার রুহ জমিনের যেখানে দাফন করা হয়েছে সেখানে ফেরত দাও কেননা আমি জমিন থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছি জমিনে ফিরিয়ে দিব এবং কেয়ামতের দিন জমিন থেকে আবার বের করব তারপর তার মুখে জমিনের দিকে নিক্ষেপ করা হয় অতএব কাফের দেহ যেখানে দাফন করা হয়েছে ফ্রুটি সেইখানে গিয়ে পতিত হয় এরপর নবী করিম সাঃ কোরআনের এই একটি পাঠ করেন যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করল সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল অতএব মৃতভোজী পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে কোনো দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল সুরা হজ ১৩১.।

অতঃপর তার লক্ষ্যে দেশে ফেরত দেওয়া হয় নবী করিম সাঃ বলেন তাকে দাফন করে যখন লোকেরা চলে যায় তখন দুইজন ফেরেশতা আগমন করেন এবং কঠিনভাবে ধমকাতে থাকেন অতএব তাকে বসিয়ে জিজ্ঞেস করেন তোর প্রভুকে সে উত্তর দেয় আফসোস আমি জানিনা আবার জিজ্ঞেস করেন পরদিন কি জবাবে সে বলে হায় আমিতো এইটা অবগত নয় তারপর জিজ্ঞেস করেন তোর কাছে যে লোকটিকে পাঠানো হয়েছিল তার সম্পর্কে ধারণা কি সে উত্তরে বলে হায় আফসোস আমি তা জানিনা তার সম্পর্কে মানুষ যা বলতো আমিও তাই বলতাম তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন এই লোক মিথ্যা বলেছে তাকে জাহান্নামের পোশাক পরিয়ে দাও তার জন্য জাহান্নামের বিছানা ভিজিয়ে দাও এবং তার জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে দাও যাতে তার কাছে জাহান্নামের গরম বাতাস করতাম পৌঁছাতে পারে.।

ডার্ক অবরোধ সম্পন্ন করে দেয়া হয় মাটি তাকে এমনভাবে চেপে ধরে যাতে তার এক পাশের হাড় অপর পাশের ঢুকে যায় অতএব কালো চেহারা বিশিষ্ট কালো পোশাক পরিহিত ও দুর্গন্ধযুক্ত এক ভয়ানক আকারের লোক এসে বলতে থাকে ২ দুঃখের সংবাদ গ্রহণ কর ধ্বংস হোক তোর আজকের সেইদিন অঙ্গীকার তোর সাথে করা হয়েছিল তখন কাফের মুনাফিক ব্যক্তি বলে তোমার পরিচয় কি তোমার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে তুমি কোন দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছ উত্তরে লোকটি বলে আমিতো সেই খারাপ আমল যা তুই দুনিয়াতে করেছিলি আল্লাহর শপথ করে বলছি তুই ছিলে আল্লাহর আনুগত্যের কাজে গাফেল এবং আল্লাহর নাফরমানি তেলেটক আগামি অতঃপর তার কবরে একজন বোবা ও বধির ফেরেশতা পাঠানো হয় তার হাতে থাকে লোহার এমন একটি হাতুড়ি দিয়ে যদি কোন কঠিন পাহাড়ে আঘাত করা.।

হত তাহলে উক্ত পাহাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে জুলাই পরিণত হয়ে যেত তা দিয়ে তাকে এমন জোরে প্রহার করা হয় যাতে সে মাটির সাথে মিশে যায় আল্লাহ তাকে পুনরায় জীবিত করেন ফেরেশতা আবার তাকে আঘাত করেন সে এমন প্রকটভাবে চিৎকার করতে থাকে যার আওয়াজ জিন-ইনসান ব্যতীত সকল সৃষ্টির শুনতে পায় অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের বিছানা বিছিয়ে দেওয়া হয় কেয়ামতের দিন যেহেতু তার জন্য আরও কঠিন আজাব রয়েছে তাই সে বলবে হে আল্লাহ কেয়ামত যেন না হয় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা তিনি যেন আমাদেরকে কবরের এই ভয়াবহ আযাব থেকে হেফাজত করেন আমীন মৃত্যুর সময় কাফেররা খুব কঠিন ও ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকেন আল্লাহ্ তা’আলা বলেন.।

ইয়াবার নিউ হায়দারী সাহেব মাওলানা আলাউদ্দিন আলী বানাত বাসিত ভালবাসিত অ্যাক্রোজোম আল্লাহুম্মা দূরে যামুনা যামুনা গৌরমোহন বিমানচালনা রাবনে বানায়া.।

আপনি যদি জালিমদেরকে ওই সময় দেখতে পেতেন যখন তারা মৃত্যুযন্ত্রণায় থাকবে এবং ফেরেশতাগণ হাত বাড়িয়ে বলবেন তোরা নিজেরাই নিজেদের প্রাণ বের করে আর তোদের আমলের কারণে আজ তোদেরকে অবমাননাকর আজাব দেয়া হবে কারণ তোরা আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করেছিলেন এবং তোরা তার হাতের বিরুদ্ধে অহংকার করেছিলি সূরা আনআম আয়াত ৯৩ ,আল্লামা আব্দুর রহমান রহমাতুল্লাহি বলেন আপনি যদি কাফেরদেরকে মৃত্যুকালীন কঠিন অবস্থা প্রত্যাখ্য করতেন তাহলে অবশ্যই এমন ভয়াবহ অবস্থা প্রত্যাখ্য করতেন যা কারো পক্ষে বর্ণনা করা সম্ভব নয় কাফেরদের মৃত্যুর সময় ফিরিশতাগণ তাদেরকে আঘাত করতে থাকে এবং বলতে থাকেন তোরা নিজেরা ইংরেজদের পান বের করে আনা আল্লাহ আমাদের এই ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষা করুক আমি আশা করি.।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button