যে ভাবে ইবলিশ পৃথিবীতে মাদকের বিস্তার ঘটায়! নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ইবলিশের ঝগড়া!
যে ভাবে ইবলিশ পৃথিবীতে মাদকের বিস্তার ঘটায়! নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ইবলিশের ঝগড়া!

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আলাই সালাম এর মহাপ্লাবনে পৃথিবী থেকে সকল পাপাচার যায় কিন্তু এরপরে অত্যন্ত কৌশল করে নূহ আলাইহিস সালাম এর সাথে একটা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া প্রিয় দর্শক হযরত নূহ আলাইহিস সালাম এর সাথে ঘটা ইবলিশের সেই চক্রান্ত নিয়ে আজকের আলোচনা করবো । চক্রান্তের মাধ্যমে ইবলিশ ছলে-বলে-কৌশলে মানবজাতির ভিতরে মাদকের প্রসার ঘটায় মহাপ্লাবনের সকল পাপাচারের ধ্বংস হওয়ার পর দীর্ঘ ৪০ দিন পর নৌকা যদি পাহাড়ে এসে থামলো নুহ আলাহিসালাম জমিনে একটি কার্ড পাঠিয়ে দেন পানি অবশিষ্ট তা মাপার জন্য কিন্তু ভূমিতে পড়ে থাকা মৃত মাছ এবং বিভিন্ন খাবার দেখে কাক সেগুলো খেতে থাকে আর পুনরায় ফিরে আসে না এতে নুহ আলাই সালাম অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়ে যান এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে তারপর জিবরাঈল আলাইহিস সালামের পরামর্শে কবুতরকে পাঠান.।
জমিনের পরিস্থিতি জানার জন্য কবুতর জমিনের একাংশে গিয়ে বসে নিজের পায়ে কাঁদা মেখে নৌকায় ফিরে আসো দেখে খুশি হয়ে কবুতরের জন্য দোয়া করেন এবং বলেন যে তুমি এমন একটি পাখি ডাকে চিরকাল মানবজাতি ভালবাসবে এসময় হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম অবতরণ করে পানির জন্য সাতটি পথ তৈরি করে দেন যার ফলে স্থলভাগের যত প্রাণী আছে তার সব সমুদ্রে গিয়ে পতিত হয় যা কিছু অবশিষ্ট ছিল সেগুলো কে ভূমি চাষের জন্য উপযুক্ত করা হয় নৌকা থেকে বের হয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম তার কাছে সংরক্ষিত সকল বৃক্ষমূল কে জমিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন এবং তার সন্তানরা তার আদেশ পালন করতে থাকে সর্বপ্রকার গাছগাছালি ফল-ফলাদি বীজ যা কিছু তারা প্লাবনের পূর্বে সংরক্ষন করে রেখেছিল তার সবই জমিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু দূর.।
ক্রমে সে বিচ গুলোর মধ্যে নূহ আলাইহিস সালামের অত্যন্ত পছন্দের একটি ফল আঙ্গুর গাছের বীজ অথবা শেয়ার কোনটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না হযরত মুয়াবিয়া বৃক্ষমূল না পেয়ে সাথে সাথে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন অতঃপর জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম তাকে জানিয়ে দেন অভিশপ্ত শয়তান তার সংরক্ষন শালা থেকে আঙ্গুর গাছের বীজ তথা শিকড়টি চুরি করেছে অথবা ইসলাম ইবলিশ কে ডেকে বললেন তুই আমার আঙ্গুর গাছের মূল চুরি করেছি অতঃপর বলল হ্যাঁ কিন্তু আমি আপনাকে সেটা দিবো না তখন নু আলাই সাল্লাম বললেন আল্লাহ তাআলা আমাকে অবহিত করেছেন দুই আঙ্গুল গাছের মূল চুরি করেছিস এবার তুই অবশ্যই এটা দিতে বাধ্য হবে অতঃপর ইবলিশ বলে জি হুজুর অবশ্যই দিব তবে শর্ত হচ্ছে আঙ্গুর গাছের মূলে আপনি একবার পানি দেবেন আর আমি তিনবার পানি দেবো হজরত নুহ আলাই সালাম অতঃপর তার এই দাবি মেনে নিলেই শয়তান আছে মূল এনে দিল.।
সালাম সেটিকে ভূমিতে নিজ হাতে বপন করলে পূর্বঘোষিত শর্ত মোতাবেক নু আলাই সাল্লাম একবার এবং অভিশপ্ত শয়তান তিনবার পানি সেচ করতেন অভিশপ্ত ইবলিশ তার তিন ভাগ শুকর এবং শিয়ালের রক্ত এনে আঙ্গুর গাছের মূলে ঢেলে দিত আঙ্গুর যে মিঠা সেটি হল হজরত নুহ আলাই সালাম এর পানি দেওয়ার মঙ্গলে আর আঙ্গুর থেকে যে মদ তৈরি হয় তা অভিশপ্ত ইবলিসের অপকর্মের ফল তাই মদ্যপানের পর মানুষ যখন মেজাজ হারিয়ে ফেলে তখন তার মধ্যে শিয়াল বাঘ এবং শুকুরের বিভিন্ন মন-মানসিকতা প্রকাশ পায় কেননা মন্তব্য ব্যক্তি কখনো হিংস্র কখনো অশ্লীল আবার কখনো বেখেয়ালি আর আমরা সবাই জানি যে প্রত্যেক বস্তুর মাঝে সেটার মূলের প্রতিক্রিয়া থাকে তাইতো প্রবাদ রয়েছে সর্ব বস্তু তার মুখের দিকে ফিরে যায় আর এটা অভিশপ্ত শয়তানের কু কর্মের ফল এভারেজ হযরত মুসা আলাই সালাম কে উদ্দেশ্য করে বলল হেসে কলাম্বিয়া রফিকুলের শ্রদ্ধেয়.।
আমার উপর আপনার অনেক দোয়া এবং করুণা রয়েছে তাই আপনি আমার নিকট থেকে কিছু একটা কামনা করুন তখন নোয়ালে সাল্লাম বললেন উড়ে অভিশপ্ত ইবলিশ তুই আমার কোন গুনাহ খুশি হয়েছি যে আমার এমন প্রশংসা করছি তখনই ব্রিজ বলল আপনি তো কোন গুনই করেন নাই বরং আপনি এমন দোয়া করেছেন পুরো পৃথিবীতে আমার বেঁচে থাকা সকল সাক্ষাৎকার ধ্বংস করে দিয়েছেন শুধুমাত্র আমাকে ছাড়া অবশ্য তারা চিরকাল আমার সাথে জাহান্নামী অবস্থান করবে এই কথা শুনে হজরত নুহ আলাই সালাম অত্যন্ত ব্যাথা পেলেন যে তিনি মানুষকে হেদায়েত করতে না পেরে কষ্টের মুখে বদ দোয়া করেছিলেন আর আল্লাহ তা কবুল করেছিলেন আত্মায় পুরো পৃথিবীতে সকল কাফির-মুশরিকদের হয়ে গেছে এজন্য তিনি পরবর্তী ১০০ বছর ব্যতীত হৃদয় মহান আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করতে থাকেন এরপর একদা নু আলাই সাল্লাম ইবলিশ কে জিজ্ঞেস করলেন ইবলিশ আচ্ছা বলতো বনী-আদম জাহান্নামে কোন কোন কারণে নিক্ষিপ্ত হবে.।
হুজুর চারটি বিষয়ে হিংসা অহংকার এবং কার্পণ্য আলাই সালাম এর কাছে এর ব্যাখ্যা চাইলে পুলিশ বলল আমি ৭০ হাজার বছর পর্যন্ত পরাক্রমশালী সম্মানিত আল্লাহকে সেজদা করেছে তার এবাদত করি মহান আল্লাহ তাআলা যখন আদম আলাই সাল্লাম কে সৃষ্টি করলেন তখন তাকে সেজদা করতে অস্বীকৃতি করায় আমি লাঞ্চ এবং অভিশাপের ভাগীদার হয়েছি এরপর মহান আল্লাহতালা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুই আদমকে কেন সেজদা করলি না এবার আমি অহংকার করে বসলাম বললাম আমি আদম থেকে শ্রেষ্ঠ কেননা আপনি আদমকে মাটি থেকে আর আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন এই অহংকার এর কারণে মহান আল্লাহ তাআলা আমাকে তার দরবার থেকে বিতাড়িত করলেন তৃতীয়তঃ আদম আলাই সালাম এর ভিতরে আমি একজন দক্ষ নির্লোভ যখন সৃষ্টি করলাম অতঃপর সে যখন তার নিজের ভেতরের লোককে সংবরণ করতে পারল না এবং গণমুখী ফেলল.।
তারপর থেকে সে জান্নাত থেকে বহিস্কৃত হয়ে গেছে আর বনি আদমের জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবার চতুর্থ কারণ হচ্ছে কার্পণ্য মহান আল্লাহ তায়ালা কৃপনদের জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন অর্থাৎ যারা কখনো জান্নাতে যাবে না ইবলিশ হজরত নুহ আলাই সাল্লাম কি এসব শুনিয়ে প্রস্থান করল অতঃপর মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশনাসমূহ দ্বারা তুমি একটি মসজিদ নির্মাণ করি এই নির্দেশ পেয়ে হজরত নুহ আলাই সাল্লাম যদি পাহাড়ের উপর একটি মসজিদ নির্মাণ করেন সেখানেই মসজিদ কে কেন্দ্র করে স্বামীর নামের একটি জাতি বা জনবসতি গড়ে উঠলো.।