নবী ইদ্রিস আঃ এর বেহেশতে যাওয়ার অলৌকিক ঘটনা! ও আল্লাহর কুদরত! ইসলামিক ঘটনা

আদমখোর আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ  । আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দোয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সালাম জীবনে অনেক মজা প্রদর্শন করেন সমূহের মধ্যে একটি প্রধান মোজেজা ছিল এই যে তিনি যা কিছু ভবিষ্যদ্বানী করতেন তা হুবহু বাস্তবে পরিণত হতো তাঁর ইবাদত বন্দেগীতে খুশি হয়ে ফেরেশতারা তাকে মাঝে মাঝে আসমানী নিয়ে যেত এ সম্পর্কিত একটি ঘটনা তার জীবনের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ঘটনা রূপে পরিচিত একদা তিনি তাসবিহ-তাহলিল পাঠিয়ে নিমগ্ন ছিলেন এমন সময় মালাকুল মউত আজরাইল আলাইহি সালাম একজন সাধারন মানুষের রূপে এসে তার সামনে দাঁড়ালেন তিনি তাকে বিদেশি মেহমান ভেবে যথাযোগ্য আপ্যায়ন করলেন.।

রাখতেন এবং প্রত্যহ সন্ধ্যার পর তার ইফতারের জন্য বেহেশতে থেকে কানে আসতো সুবহানাল্লাহ তিনি সেই বেহেশতী খাবার দ্বারা ইফতার গ্রহণ করতেন ইফতারের পর যা কিছু থাকত তা আবার বেহেস্তে চলে যেত সেদিনও বেহেশতে থেকে খাবার আসলে তিনি ওহা দ্বারা ইফতার করেন এবং আগন্তুক মেহমানদের কেওতা খেতে দেন উক্তরূপে ফেরেশতা মালাকুল মউত আজরাইল আল ইসলাম খাবার না খেয়ে সমগ্র রাত কাটিয়ে দিলেন আচার-ব্যবহার দেখে হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সালাম যথেষ্ট পরিমাণে বিস্মিত হলেন পরের দিন সকালবেলা হযরত ইদ্রিস আলাই সাল্লাম বললেন ওহে আগন্তুক মেহমান চলুন আমরা একটু ভ্রমন করে আল্লাহ পাকের নিদর্শন সমূহ দেখে আসি প্রস্তাবে মেহমান রাজি হলে উভয় কিছুদুর যাবার পর হঠাৎ রহমান বলেন চলুন উইকেটটি হতে আমরা কিছু ফল এনে ভক্ষণ করি হযরত ইদ্রিস এতে করে বেশ কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললেন আপনি তো ভীষণ আশ্চর্য মানুষ.।

রাতের বেলা আপনি হালাল খাবার খেলেন না অথচ এখন আপনি পরের হক নষ্ট করতে চাচ্ছেন ওপারের মাল না বলে গ্রহণ করা আমাদের জন্য একেবারে নিষিদ্ধ মেহমান তার কথায় কোনরূপ জবাব না দিয়ে সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন কিছুদূর যাওয়ার পর এক স্থানে কিছু ছাগল চুরি দেখে বললেন চলুন আমরা একটি ছাগলের জবেহ করে খাই হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সাল্লাম বলেন ছাগল না বলে খাওয়া মহাপাপ সেটা কি আপনি জানেন না এভাবে আগন্তুক তিনদিন পর্যন্ত হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সালাম এর সাথে থাকলে তার আচরণ দেখে হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সালামের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়ে যায়নি এই ব্যক্তি কোন মানুষ হবে না তখন তিনি বললেন আল্লাহর শপথ আপনি আপনার প্রকৃত পরিচয় বলুন আমি কোন মানুষ নই আমি একজন ফেরেশতা আমার নাম বল মাউথ হযরত আজরাইল আলাইহি সাল্লাম হযরত ইদ্রিস আঃ সালাম বলেন আপনি কি দুনিয়ার প্রাণীকুলের প্রাণ হরণ করে থাকেন মালাকুল মউত বললেন হাঁ হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সাল্লাম বলেন তাহলে আপনি কি আমার.।

কবজ করতে এসেছেন মালাকুল মউত বললেন না আমি আপনার সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক স্থাপন করতে এসেছি আমার একান্ত ইচ্ছা যে আমার প্রস্তাবে আপনি রাজি হবেন হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সাল্লাম বললেন আমি আপনার প্রস্তাবে শর্তে রাজি আছি যে আপনি আমাকে একবার মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করাবেন যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আমার অনেকটা উপকার হবে মৃত্যুর ভয়ে আমি আরো বেশি পরিমাণে আল্লাহর এবাদত বন্দেগিতে মশগুল হতে পারব মালাকুল মউত বললেন আল্লাহ পাকের অনুমতি ছাড়া তো আমি কোন কিছুই পারি না যেহেতু আপনার মৃত্যুর সময়-ক্ষন উপস্থিত হয়নি হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সাল্লাম বললেন আপনি আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিন তাহলেই তো হয় মালাকুল মউত মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে অনুমতি চাইলেন অনুমতি নিয়ে মালাকুল মউত তার জান কবজ করে মৃত্যুর পর মালাকুল মউত তাকে পুনরায় জীবিত করার জন্য প্রার্থনা করলেন মহান আল্লাহ তাআলার প্রার্থনা মঞ্জুর করে হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সাল্লাম কে পুনরুজ্জীবিত করলেন এবার মালাকুল মউত আজরাইল জিজ্ঞাসা করলেন.।

অবস্থাটা আপনার কাছে কেমন মনে হলো হযরত ইদ্রিস আলাই সাল্লাম বললেন ভাই কোন জীবিত প্রাণীর গায়ের চামড়া মাথা হতে পা পর্যন্ত খুশি ফেললে যেমনটি হয় ঠিক যেমনটি আমার মনে হল মালাকুল মউত বললেন ভাই ইদ্রিস আলাইহিস সালাম আমি আজ পর্যন্ত যত প্রাণী প্রাণহরণ করেছি তার মধ্যে আপনার মত এতটা সহজে কোন প্রাণীর প্রাণ হরণ করিনি আপনার যাতে কষ্ট কম হয় সেদিকে আমি সতর্ক ছিলাম অতঃপর হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সাল্লাম বলেন ভাই আমার মনের দুচোখ দেখার ভীষণ আগ্রহ জন্মেছে আপনি যদি আমাকে দেখা দেন তাহলে আমি আদতে আরো বেশি বেশি মনোযোগী হতে পারতাম তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে মালাকুল মউত দোযখের দরজা পর্যন্ত হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সালামকে নিয়ে গেলেন তিনি দোজখে দেখার পরে বললেন ভাই মালাকুল মউত আমার মনে বেহেশ্ত দেখার সাধ আছে আপনি যদি আমার এই সাতটি * করতেন তাহলে আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকতাম মালাকুল মউত বললেন আপনি যদি আমার সাথে ওয়াদাবদ্ধ হতে পারেন যে আপনি বেশ তো দেখি আমার কাছে ফিরে আসবেন তাহলে আমি আপনাকে বেহেশ্ত দেখা দেব.।

হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সাল্লাম মালাকুল মউতের কথায় রাজি হলেন সে তাকে বেহেশতের দরজায় পৌঁছে দিল তিনি বেহেশতের দরজায় জুতা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে কিছু সময় ঘোরাফেরা করেন অতঃপর প্রত্যাবর্তন করে স্বীয় প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন এবং আজরাইল আবে সালামকে বলেন দেখুন আমি আপনার কথামতো ভিতরে গিয়েছি আবার আপনার সাথে ওয়াদা পালন এর স্বার্থে বাহিরে বের হয়ে এসেছে আজরাইল আল ইসলাম মাথা নেড়ে বললেন ধন্যবাদ কিন্তু কথা বলতে না বলতেই পরক্ষনেই ইদ্রিস আলাই সালাম প্রচন্ড জোরে বেহেশতে ঢুকে পড়লেন মালাকুল মউত তাকে ডেকে বললেন ভাই ইদ্রিস আপনি আমার সাথে কেন প্রবেশ করলেন তাড়াতাড়ি চলে আসো আমি আপনাকে পৃথিবীতে পৌঁছে দিয়ে আসি আমার বহু কাজ আছে হযরত ঈদ্রিস আলাইহিস সাল্লাম জবাব দিলেন ভাই মালাকুল মউত আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং একবার দুজক না দেখে কেউ বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না আমি তো একবার মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করেছি এবং দুচোখে দেখেছি অতঃপর বেহেশত হতে বের হয়ে আপনার সাথে কৃত ওয়াদা রক্ষা.।

সুতরাং এখন আমি আর বেহেশ্ত থেকে বের হব না এবার আপনি আপনার কাজে চলে যান.।