Islamic Post

কোরআনে বর্ণিত র্পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান গরুর ঘটনা!

কোরআনে বর্ণিত র্পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান গরুর ঘটনা!

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আজকে আপনাদেরকে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের এমন একটি অজানা কাহিনী শোনাতে যাচ্ছি যেটি আপনাদেরকে আশ্চর্য করে তুলবে আমি সাথে সাথেই আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে এটা কিভাবে হল কেননা আপনারা কোরবানির হাটে এমন অনেক গরুর নাম শুনেছেন যেগুলোর দাম লক্ষ টাকা এমনকি ১০ ,১৫ /২৫  লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে । কিন্তু আজকে আমি আপনাদের এমন একটি গাভীর নাম উল্লেখ করব যেটি ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছিল সেই গাভীর দাম হয়েছিল দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা এটা শুনে হয়তো আপনি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে না ভাবছেন যে একটি গাভীর দাম এত টাকা কিভাবে হতে পারে এ গ্রাভিটি কি হিলা দিয়ে মোড়ানো আর তা যদি না হয় তাহলে এত দাম কেন কিন্তু এটাই সত্য এবং এটা হযরত মূসা আলাইহিস সালামের সময়কার ঘটনা ইতিহাসবিদগণ বলছেন সে সময়.।

পরিমাণ স্বর্ণ মুদ্রা দিয়ে গাভীটি কেনা হয়েছিল তা বর্তমান সময়ের কয়েক হাজার কোটি টাকার সমতুল্য অনুরোধ করছি ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখুন ঘটনাটা এভাবে শুরু হয়েছিল বনি ইসরাইলের মধ্যে খুবই ন্যাকা এবং ভালো একজন মানুষ বসবাস করতেন আর তার একটি সন্তানও ছিল এবং সে অনেক ছোট ছিল তো সেই ব্যক্তির সব সময় আল্লাহর গুনগান এবং তাসবিহ-তাহলিল করতেন সে বুজুর্গ ব্যক্তি তার মৃত্যুর পূর্বে তার একমাত্র গাই বাছুর কে জঙ্গলের একটা ঝোপের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে দেয় এবং এ বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন হেঁয়ালি বাছুরকে আমি সেই পর্যন্ত আপনার উপর আমানত হিসেবে রেখে দিচ্ছি যতদিন পর্যন্ত না এইবার শুরু হবে এর কিছুদিন পর সে বুজুর্গ ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করল তার ছোট্ট ছেলে সন্তানটিকে দুনিয়াতে রেখে সেই সন্তানটি ছিল তার মায়ের অনুগত সে বড় হতে থাকল এবং ধীরে ধীরে আয় উপার্জন করে শুধুমাত্র তার মায়ের সেবা.।

তার মাকে এতটা ভালোবাসতো এবং মায়ের কথার এতটা গুরুত্ব দিত যে দিনরাত আর মাতার জন্য দোয়া করতে রাত্রি কে তিন ভাগে বিভক্ত করেছিল তাদের একটি অংশ শেষ হয়ে থাকত একটি অংশে সে আল্লাহর এবাদত করত আর একটি অংশে তার মায়ের খেদমত করতে আর প্রত্যেক দিন সকাল হলে জঙ্গল থেকে কাঠ কেটে নিয়ে আসতো আর সেগুলো বিক্রি করতো সেখান থেকে যে প্রশান্ত সেগুলো আবার গরীব এবং এদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেও কিছুটা নিজে খেতে এবং কিছু অংশ তার মায়ের পেছনে খরচ করত একবার সে ছেলেটি খুব অভাব এর মধ্যে পড়ল তখন তার মা তাকে বলল তোমার বাবা জঙ্গলে একটি গাভীর বাছুর ছেড়ে এসেছিল আজ থেকে আরও পাঁচ থেকে সাত বছর পূর্বে আশাকরি এতদিনে গ্রাভিটি অনেক বড় হয়ে গিয়েছে এবং সুঠাম হয়েছে যেহেতু তোমার বাবা আল্লাহর উপর আমানত স্বরূপ রেখে এসেছে এবার তুমি সেই জঙ্গলের পাশে গিয়ে আল্লাহর কাছে এমন ভাবে দোয়া করো হে আল্লাহ আপনি আমাকে আমার পিতা রেখে যাওয়া আমানত ফিরিয়ে দিন.।

সে হলুদ রংয়ের এবং তার চামড়া এমনভাবে চমকাচ্ছিল মনে করো যেন নতুন সূর্যের কিরণ তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসছে একথা শুনে ছেলেটি জঙ্গলের কাছে গিয়ে দোয়া করতে শুরু করল এবং সঙ্গে সঙ্গে সে গ্রাভিটি তার কাছে চলে আসলো এবং সেটাকে ধরে সোজা বাড়ি ফিরিয়ে আনবো তারপর তার মা তাকে বলল বাবা এদিকে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিন দিনারের বিক্রি করে এসো কিন্তু যার কাছে বিক্রি করবে বিক্রি করার আগে আমাকে জানিয়ে দিও যে তুমি এই লোকের কাছে বিক্রি করছে সে সময় বাজারে একটি গাভীর দাম তিন দিনে দিচ্ছিলো এরপর বাজারে একটি খরিদ্দার আসলো আর সেই ব্যক্তিটি বলল তোমাকে এই গাভীর দাম আমি তিনদিন এর থেকে বেশি দেবো তবে আমার একটা অনুরোধ হচ্ছে তুমি তোমার মাকে না জানিয়ে গ্রাভিটি এখনি আমাকে বিক্রি করে দাও তখন সেই ছেলেটি বলল তুমি এই গাড়িটির দাম যতই যাওনা কেন আমি আমার মায়ের সাথে শেষ পরামর্শ ছাড়া কখনোই তোমার কাছে এটা বিকৃতির সম্মতি.।

তাপসী ছেলেটি ঘরে আসলো এবং সমস্ত কাহিনী তার মাকে খুলে বলল মা বলল হতেও পারে এই খরিদ্দার একজন নেককার ফেরেশতা তাই তুমি এখনই সিদ্ধান্ত নাও যে এই গাড়িটি বিক্রি করবে না কি করবে না এরপর সেই ছেলেটি যখন বাজারে আবার সেই খরিদ্দার এর সঙ্গে দেখা হলো তখন সেই কবিতার বলল তুমি এখন এই গাড়িটি কার বিক্রি করুন কেননা পরবর্তীতে এই গাভী তোমার কাছ থেকে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের মানুষজন কিনে নিয়ে যাবে তখন তুমি যদি এই গাভীর পরিবর্তে গাভীর সমপরিমাণ স্বর্ণমুদ্রা দাবি করো তাও তারা তোমাকে দিতে বাধ্য হবে অর্থাৎ যদি তুমি সেই ব্যক্তিদের কাছে এই গাড়িটি বিক্রি করো তাহলে তোমাকে এত বেশি দাম দেওয়া হবে যা পৃথিবীর ইতিহাসে কোন গাভীকে আজ পর্যন্ত দেয়া হয়নি এবং কিয়ামতের আগের দিন পর্যন্ত দেয়া হবে না তোমার এই গাড়িটি হচ্ছে পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান গাভী এর কিছুদিন পরেই বনি ইসরাইলের অর্থাৎ মুসা আঃ সালামের একজন ধনী ব্যক্তি যার নাম ছিল আমিলিয়া মিলকে তার চাচার .।

দ্র ষড়যন্ত্র করে হত্যা করলো জাতি তার সম্পদ তারা কুক্ষিগত করতে পারি আর তার লাশ কি একটি নির্জন জায়গা তে ফেলে রাখে সকাল-সকাল হত্যাকারীর সন্ধান শুরু করা হলো কিন্তু যখন হত্যাকারীর কোন সূত্র পাওয়া যাচ্ছিল না তখন কিছু মানুষ হযরত মূসা আলাইহিস সালামের খেদমতে হাজির হলেন আর মুসা আলাইহিস সালামকে জিজ্ঞাসা করলেন বললেন হে আল্লাহর নবী আপনি বলুন আমি কে কে হত্যা করেছে তারপর মূসা আলাইহিস সালাম বললেন তোমরা একটি গাভী গরু কিনে নিয়ে এসো আর তার মুখ এবং নিজের হাত দিয়ে সেই লাশের উপর মারো এ কথাগুলো আমরা পবিত্র কোরআন থেকে পেয়েছি কোরআনের সূরা বাকারায় মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন তারা মুসা কি জিজ্ঞেস করল হে মূসা আপনি আমাদের বলুন গরুটি আসলে কেমন হবে কারণ আমরা তো সঠিক গরু নির্বাচন করতে পারছি না তখন হযরত মুসা আঃ সালাম আল্লাহর তরফ থেকে জেনে নিলেন এবং মহান আল্লাহতালা মুসা আলাই সালাম কে জানিয়ে দিলেন বলে দাও এমন একটি গাভী যা কোনদিন হালচাষে ব্যবহার করা হয় নাই যেটা নিখুঁত এবং দেখতে অনেক চমৎকার সুন্দর.।

তখন তারা আল্লাহর পরমাণু অনুযায়ী খুঁজতে শুরু করলো এবং পুরো দুনিয়া ঘুরে শুধুমাত্র ঐ গ্রাভিটি কে খুঁজে পেল যেটি ছিল সেই ফরমাবরদার ছেলেটি যখন সে ছেলের সামনে তারা গ্রাভিটি কেনার জন্য আসলো তখন সেই ছেলে ও বলল এই গাভীর সমপরিমাণ সোনা ভর্তি করে আমাকে দিতে হবে যাই হোক তারা সে গাড়ি কিনে নিল এবং অতঃপর সেই গাভীকে কোরবানি করে তার মুখ এবং লেজের হারদা রাশি লাশকে আঘাত করা হল তখন সে জ্যান্ত লাশ হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে গেল এবং বলল আমাকে হত্যা করেছে আমার চাচার ছেলেরা যারা আমার ধন দৌলতের লোভে পড়ে আমাকে হত্যা করেছে এরপর মুসা আঃ সালাম সাথে সাথে রায় শুনিয়ে দিলেন কেননা হত্যাকারীর নিজেই প্রাণ ফিরে পেয়ে তার মূল হত্যার ঘটনা যেহেতু বর্ণনা করে ফেলেছে এখানে আর কোন সাক্ষীর প্রয়োজন নেই সুতরাং সেই দুই চাচাতো ভাইকে সেখানে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো অতঃপর সেই ধনী ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তির মালিক মায়ের ফরমাবরদার ছেলেকে দিয়ে দেওয়া হলো এর ফলে সে অনেক ধনী সম্পদের.।

প্রিয় দর্শক যদি আপনি এই কাহিনীকে একটু ভাল করে খেয়াল করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে সমস্ত সন্তান বাবা মায়ের সেবা যত্ন করে থাকে বা খেদমত করে থাকে তাদেরকে আল্লাহ রব্বুল আলামীন গাইবি খাজানা থেকে সাহায্য করে থাকেন আপনি নিজেই দেখতে পেলেন না একজন ছেলে তার বাবা-মায়ের প্রতি বাধ্য থাকা এবং তাদের খেদমত করার জন্য আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাকে শেষ পর্যন্ত কেমন করে সে অঞ্চলের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করবে আর এখানে আরেকটি জিনিস জানা গেল যে যে জিনিস আল্লাহ রব্বুল আলামীনের নিকট আমার অনুরোধ রেখে দেওয়া হয় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সে জিনিসের অবশ্যই হেফাজত করে থাকে এমনকি তার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতি অনেক বরকত দান করে আপনি একটু ভালো করে চিন্তা করুন দেখুন যখন সে বুজুর্গ ব্যক্তি জঙ্গলে বাছুরটিকে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের বর্ষাতি আল্লাহ রব্বুল আলামীনের নিকট রেখে দিয়েছিলেন তখন সে জঙ্গলের ভিতরে হিংস্র জীব যন্ত্র কিন্তু ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও সে গ্রাভিটির কোনো ক্ষতি হয়নি কারণ সরাসরি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য.।

তাই যখনই আপনি ঘর থেকে বের হবেন তখন আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার কাছে এমন দোয়া করবেন যে হে আল্লাহ আমার স্ত্রী সন্তান সন্ততি পিতা-মাতার সবকিছুকে আপনি হেফাজত করে রাখবেন এবং আমাকে অসুরক্ষিত রাখবেন এর জন্য শ্রেষ্ঠ দোয়াটি আল্লাহ রাসুল শিখিয়ে দিয়েছেন তা সেটি হচ্ছে বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ এটি পড়ে ঘর থেকে বের হবে আর ঠিক তখন থেকেই আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জিম্মায় চলে যাবেন আপনার রেখে যাওয়ার সম্পদ আপনার সন্তান স্ত্রী সকলেই আল্লাহর জিম্মায় চলে যাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই আপনার এবং আপনার সম্পদের হেফাজত শুরু করবেন এজন্য প্রত্যেক অবস্খাতেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে নিজেকে সঁপে দিন আপনার প্রিয়জনকে সেদিন আর মনে রাখবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জাকির ধন দৌলত দিয়ে থাকেন তাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পরীক্ষাতে ফেল আর তিনি এটি পরীক্ষা করেন যে সেই ব্যক্তির কাছে যে ধন দৌলত আমি দান করেছি সেগুলো কে.।

কোথায় কোথায় খরচ করেছে সে কি এখান থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করেছে সেই গরীবদের থেকে নিজেকে অনেক কিছু মনে করেছে এ সমস্ত কিছু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজে নিজেই পরীক্ষা করে থাকে তাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আমাদের একটাই প্রার্থনা তিনি যেন অহংকারীকে অহংকার মুক্ত করেন এবং বেশি বেশি দান-সাদকা করার তৌফিক দান করেন সর্বশেষ বলব এই গল্পটি আমাদের শিক্ষা দিয়েছে সেটি হলো সম্পদের লোভে অন্ধ হওয়া ব্যক্তি তার নির্ধারিত পরিমাণ থেকে একবিন্দুও বেশি ও সম্পদ ভোগ করে যেতে পারে না.।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button