লোকমান হাকিম রহঃ ও তিনজন বেয়াদব মেয়ের বিস্ময়কর ঘটনা || Hazrat Luqman || Islamic Educational Story
লোকমান হাকিম রহঃ ও তিনজন বেয়াদব মেয়ের বিস্ময়কর ঘটনা || Hazrat Luqman || Islamic Educational Story

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন । আমরা লোকমান হাকিম রহমতুলা আলাহি ও তিনজন নাফারমান মেয়ের চমৎকার ঘটনা সম্পর্কে বলতে চলেছি যা শুনে আপনার মন ছুয়ে যাবে ইনশাল্লাহ । হযরত লোকমান হাকিম রহমতুল্লাহি ছিলেন পূর্ববর্তী জামানায় আল্লাহর একজন বড় নৈকট্যশীল বান্দা কিন্তু তিনি ছিলেন একজন গোলাম যখন উনার মালিক ওনাকে বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়ে গেলেন তখন অনেক হরিদ্দার ওনাকে কিনতে চেয়েছিলেন যখনই কোনো খরিদ্দার লোকমান হাকিম রহমতউল্লাহকে খরিদ করতে চাইতেন তখনই তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বলতেন যে আমাকে কোন উদ্দেশ্যে খরিদ করতে যাচ্ছেন তখন সেই ব্যক্তি কোনো না কোনো উদ্দেশ্যের কথা থাকে বলতো যখন.
ওমান হাকিম সে লোকের কারণ শুনতেন তখনই তিনি তাকে বলতেন আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে খরিদ না করলে ভালো হবে কারণ আমি আপনার কোন কাজে আসব না এই কথা শুনে খরিদ্দার থাকে না কিনে অন্য একজনকে কিনে নিয়ে চলে যেত এভাবেই চলে গেল অনেকদিন একদিন এক খরিদ্দার লোকমান হাকিম রহমতউল্লাহকে কিনতে চাইলে তিনি তাকে বললেন আমাকে নিয়ে আপনি কি কাজ করবেন তখন সেই লোকটি লোকমান হাকিম রহমতউল্লাহকে বললেন তোমাকে দিয়ে আমি আমার ঘরের চৌকিদারে কাজ করাব এই কথা শুনে লোকমান হাকিম চুপ হয়ে গেলেন এবং বললেন ওনাকে কিনে নিয়ে যেতে যে লোকটি লোকমান হাকিম রহমতউল্লাহকে খরিদ করে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার তিনজন কন্যাসন্তান ছিল যারা তাদের বাবা দৃষ্টির অন্তরালে নানা ধরনের পাপ কাজ করে বেড়াতো বাবা তাদের উপর সমস্ত ধরনের শাসন করা.
কেউ যখন তার কন্যা সন্তান এরা সঠিক পথে ফিরে আসছে না তখন তাদেরকে একটি ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখলেন এবং সে ঘরের বাইরে পাহারাদার হিসেবে লোকমান হাকিম রহমতুল্লাহি কে নিযুক্ত করলেন যে ব্যক্তি লোকমান হাকিম রহমতুল্লাহর আহরিত করেছিলেন সেই ব্যক্তি পেশায় ছিলেন একজন কৃষক যখন কন্যাদের বাবা কৃষিকাজ করার জন্য চলে যেত তখন তারা ঘর থেকে বের হয়ে নানা ধরনের পাপ কাজে লিপ্ত হতো অন্যদিনের মতো সেদিনও তাদের বাবা যখন কৃষিকাজ করার উদ্দেশ্যে কর্মস্থলে চলে গেলেন তখন লোকমান হাকিম রহমতুলা আলাহি মালিকের দেওয়া নির্দেশ অনুসারে তার কন্যাদের ঘরের সামনে পৌঁছে গেলেন বাবা চলে যাওয়ার পর কন্যারা ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য নানা ধরনের তোড়জোড় শুরু করে দিলো তারা লোকমান হাকিম রহমতুল্লাহি কে বারবার দরজা খুলে দেওয়ার হুকুম দিতে লাগল কিন্তু লোকমান তাদের.
ভাই কর্ণপাত না করে একমনে আল্লাহ তাআলার জিকির করতে লাগলেন যখন কন্যারা কিছুতেই কিছু করতে পারছিল না তখন তারা লোকমান হাকিমকে উদ্দেশ্য করে লেখা তার পাথর ছুড়তে লাগল পাথরের আঘাতে হযরত লোকমান হাকিম রহমতুল্লাহি রকম হতে লাগলো কিন্তু এতকিছুর পরেও তিনি তার কাজে অটল ছিলেন সন্ধ্যাবেলায় কাছে এসে কন্যাদের পিতা যখন ঘরে ফিরে আসলো তখন হযরত লোকমান হাকিম রহমতুল্লাহর মনিরকে কন্যাদের ব্যাপারে কিছুই বললেন না যখন মেয়েদের বাবা লোকমান হাকিম রহমতুল্লাহর কে জিজ্ঞেস করলো যে তারা সবাই ঠিক আছে তো তখন জবাবে তিনি বলেন সকলেই আল্লাহর রহমতে সহিসালামতে আছে তার পরের দিন যখন মেয়েদের বাবা কাজের উদ্দেশ্যে কর্মস্থলে চলে গেল তখন পূর্ব দিনের মতো তারা বাহিরে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিল এবং তাকে যখন করতে লাগলো কিন্তু সেই দিনই.
তিনি তার কর্মে অবিচল’ ছিলেন এইভাবে যখন কয়েক দিন কেটে গেল তখন সে কন্যাদের মধ্যে সবার ছোট যে ছিল সে অন্য দলকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগল এই লোকটা কতইনা ভাল আমরা থাকে কত কষ্ট দিয়েছি আঘাতের পর আঘাত করছি কিন্তু কিছুতেই সে তার জায়গা থেকে সরছে না সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করে নিচ্ছে এমনকি আমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমাদের বাবা কেউ কিছু বলছে না অন্যদিকে আমরা কতই না খারাপ যদি সে লোকটি এতটা ভালো হতে পারে তাহলে আমি কেন হতে পারব না আমি আজি আল্লাহ তরবারি তওবা করব এবং সকল পাপ কাজের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করব যখন মেজ বোন ছোটো বোনের এ কথা শুনল তখন সে মনে মনে বলতে লাগলাম আর ছোট বোন আমার চাইতে কতইনা ভালো সে নিজের গুনাহের জন্য মহান আল্লাহর কাছে তওবা ইস্তেগফার করেছে আর অন্যদিকে আমি এখনো পাপ কাজের কথা চিন্তা ভাবনা করে যাচ্ছি.
ধিক্কার জানাই এই চুরির অন্তরকে আমার বোন যদি পাপ কাজের জন্য ইস্তেগাফফার করতে পারে তাহলে আমি কেন করতে পারব না এই কথা বলে সেও মহান আল্লাহর দরবারে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা-ইস্তেগফার পড়তে শুরু করল যখন বড় বোন তার দুই ছোট বোনের কর্মকাণ্ড দেখল তখন সে নিজেকে ধিক্কার করে বলতে লাগল ধিক্কার জানাই এই অন্তর ও শরীরকে আমার দুই বোন কতই না সুন্দর করে নিজের পাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ মুখী হয়ে গেছে যদি তারা এমন করতে পারে তাহলে আমি কেন পারব না এমনিভাবে তিনবোন নিজেদের কৃতকর্মের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে তওবা ইস্তেগফার করে এ সমস্ত গোনাহ কাজের জন্য আল্লাহর নিকট তওবা করল এবং সকল পাপ কাজ পরিহার করে ফেলল যখন এই খবর সেই এলাকার মধ্যে বসবাসকৃত দুশ্চরিত্রের অধিকারী সমস্ত মেয়েরা জানতে পারল তখন তারা মনে মনে বলতে লাগল সেই তিন বোন.
সমাজের সবচেয়ে বড় গুণাহ গাড়ির অধিকারী ছিল তারা যদি ক্ষমা চাইতে পারে আর আল্লাহ যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দিতে পারেন তাহলে আমাদের কেন পারবেন না এই সমস্ত চিন্তা ধারণা নিয়ে সেই এলাকার সবাই নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে তওবা ইস্তেগফার করতে লাগল এভাবেই সামান্য একজন গোলামীর কারণে সেই এলাকার সকল মহিলারা তাদের কৃতকর্মের জন্য মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাদের বদৌলতে সমুদ্র এলাকার যত পুরুষ মানুষ ছিল সবাই সঠিক পথে চলে আসলো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুন আমিন.।