ওয়াইস করনী রহঃ এর মৃত্যুর বিস্ময়কর ঘটনা || আল্লাহতালা যেভাবে জান্নাতি কাফন পাঠিয়েছিলেন
ওয়াইস করনী রহঃ এর মৃত্যুর বিস্ময়কর ঘটনা || আল্লাহতালা যেভাবে জান্নাতি কাফন পাঠিয়েছিলেন

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন । হযরত ওয়াজকুরুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মৃত্যুর পর মহান আল্লাহতালা যেভাবে তার জন্য জান্নাতে কাফন পাঠিয়েছিলেন সে সম্পর্কে একটি বিস্ময়কর সত্য ঘটনা যা শুনে আপনি বিস্মিত হয়ে যাবেন । একজন বুজুর্গ বলেন একদা আমরা ইরাক থেকে মক্কা ও মদিনায় যাওয়ার ইচ্ছা করি তাই একটা কাফেলা নিয়ে আমরা রওনা হয় এবং আমাদের কাফেলাতে প্রচুর লোক ছিল এমন সময় ইরাকিদের মধ্যে থেকে এক লোক আমাদের সম্মুখে আসে এবং আমাদের সাথী হয়ে চলতে থাকে লক্ষ্মীর গায়ের রং ছিল বাদামি অধিক পরিমাণ ইবাদত করে দেহের রক্ত শুকিয়ে গিয়েছিল । নানা রঙের কাপড়ে তালি দেওয়া এবং পুরাতন কাপড় পরিহিত ছিলেন হাতে ছিল লাঠি হাতে একটি দলের মধ্যেও ছিল বর্ণিত আছে লোক ছিলেন।
তার এই অবস্থা দেখে কাফেলার কেউ তাকে চিনতে পারছিল না তারা তাকে বলতে থাকে যে আমরা ধারণা করছি বোধহয় তুমি গোলাম তারা আরো বললো আমরা মনে করি তুমি এক গুরুত্বপূর্ণ গোলাম শিরোমনি থেকে পালিয়েছে তিনি তাদেরকে হ্যাঁ বললেন তারা তাকে বলে যে তুমি যখন তোমার মনের থেকে পালিয়েছে তখন নিজেকে কেমন মনে হচ্ছে আর এখন তোমার কি অবস্থা তুমি তার কাছে থাকলে তো তোমার এই অবস্থা হতো না ঘটনা দৃষ্টে মনে হয় তুমি একজন অপরাধী গোলাম তিনি তাদেরকে বললেন আল্লাহর কসম আমি অপরাধী গোলাম নই আমি যদি তার আনুগত্য করতাম এবং তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করতাম তাহলে আমার এই অবস্থা হতো না অতঃপর তিনি কাঁদতে শুরু করলেন তিনি এতই কাজে বের হবার উপক্রম হল বর্ণনাকারী বুজুর্গ বলেন লোকেরা তার প্রতি দয়া পরবশ হলো তারা বুঝে নিল যে তিনি দুনিয়ার কোন মনিবের গোলাম অথচ তিনি মহান আল্লাহতালা কি বুঝিয়েছেন কাফেলার এক ব্যক্তি তাকে বলল.।
তুমি ভয় পেয়ো না আমি তোমার মনিবের কবল থেকে নিরাপত্তা দেবো তুমি তার নিকট গিয়ে ক্ষমা চাও তিনি বললেন আমি তো তার কাছে যেতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং তার নিকট যা আছে সেগুলো রিয়া খান কি আমি বর্ণনাকারী বলেন হযরত ওয়াইস কুরুনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর রওজা মোবারক জিয়ারত উদ্দেশ্যে মদিনার যাচ্ছিলেন অতঃপর তিনি খুব দ্রুত বেগে যেতে থাকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে তারা মরুভূমিতে যাত্রাবিরতি করে এবং সে রাতেই প্রবল বর্ষণ হয় বর্ণনাকারী বলেন কাফেলার সকলেই নিজ দেশে আশ্রয় গ্রহণ করে অথচ হযরত ওয়াজকুরুনী রহমতুল্লাহি আলাইহির কোথাও ঠাঁই হলো না তিনি কারো কাছে আশ্রয় চাননি তিনি কারো কাছে আশ্রয় নেওয়ার কারণ হলো তিনি মনে করতেন জাগতিক ব্যাপারে কোন মাখলুকের কাছে কেন চাইবো মুখাপেক্ষী দের যাবতীয় প্রয়োজন তো সবাই পূর্ণ করবেন সে রাতে হযরত ওয়াজকুরুনী রহমতুল্লাহি আলাইহির এত ঠান্ডা লাগে যে তার সারা শরীর কাঁপতে থাকে প্রচণ্ড শীতের কারণে তিনি.।
আজ রাতে ইন্তেকাল করেন সকালবেলা কাহেনা রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত এমন সময় একজন বলল ওহে উঠুন কাফেলা চলে যাচ্ছে কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দেন না লোকেরা তার কাছে এসে তাকে নাড়া দিয়ে বুঝতে পারল যে তিনি আর নেই আল্লাহ পাক তার উপর দয়া করেছেন সে সবাইকে ডেকে বলল হে কাফেলা লোকেরা যে লোকটি তাঁর থেকে পালিয়ে এসেছিল সে মারা গেছে তাকে দাফন না করে চলে যাওয়া তোমাদের উচিত হবে না লোকেরা বলল এছাড়া আর কীইবা করার আছে যুবক লোকটির সাথে অন্য একজন নেককার লোক ছিল সে বলছিল লোকটি তরকারি ছিল সে তার মাওলা পাশে ছিল সে গুনাহ যায় করেছে সে জন্য লজ্জিত ছিল আমি আশা করি তার কারণে আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেছেন তাকে দাফনের ব্যবস্থা না করে চলে গেলে আমার ভয় হচ্ছে এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে এখন কবর খনন করার তোমাদের জন্য উচিত এতে তাকে ফোন করতে একটু ধৈর্য্য ধারণ কর তারা বলল এটি এমন এক স্থান যেখানে পানি নেই সে বলল.।
তোমাদের এবং পানির ব্যবধান অতি অল্প তোমাদের কেউ আমার সাথে চলো আমি পানির ব্যবস্থা করবো একজন এ পানির পাত্র নিয়ে পানির সন্ধানে বের হতেই সে একুবের পাশে দাড়ালো তখন সে বিষয়ে বিস্ফোরিত হয়ে বলতে লাগল কী আশ্চর্য এর কোনও উপমা খুঁজে পাচ্ছিনা এটি এমন এক জায়গা সেখানে কোনো পানি ছিল না এমনকি এর আশেপাশে কোন প্রাণীর নাম গন্ধ ছিল না বলতে লাগলো তোমাদের কষ্ট দূর হলো তোমরা নাগরিক সংগ্রহ করো অথবা প্রচণ্ড শীতের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষার জন্য তারা লাকড়ি সংগ্রহ করে পানি গরম করতে গিয়ে দেখল পানি গরম হয়ে আছে এতে তাদের বিস্ময়ের সীমা রইল না এবং সকলেই ভয় পেতে থাকে অতঃপর তারা পরস্পর বলাবলি করতে থাকে যে লোকটির কাহিনী বড়ই চমৎকার বর্ণনা করেন তার কবর খনন করতে শুরু করলো তুলনামূলক নরম মাটি পেতে থাকে এবং মাটি থেকে মৃত নারী প্রধান পাচ্ছিল এমন তারা কোনদিনও পাইনি সুতরাং তাদের বুদ্ধি আরও বৃদ্ধি পেল.।
যখন তারা কবর থেকে উত্তোলন মাটি দেখছিল তখন তার দেহের অঙ্গের নেই দেখতে পাচ্ছিল তখন কাফেলা লোকেরা হযরত ওয়াইস করনী রহমাতুল্লাহ আলাইহির জন্য একটা ব্যবস্থা করে সেখানে তাকে রেখে দেয় কে তার দাফন করবে এ নিয়ে তাদের মাঝে দস্তুরমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় একজন বলে আমি কাকে বলে আমি দেব অতঃপর তারা এ কথার উপর ওকে বলছে যে প্রত্যেকে একটি করে কাপড় দেব অতঃপর তারা কালি ও কাগজ এনে তার আকৃতি তৈরি করে বলে যে আমরা মদিনায় গেলে আশা করি কেউ না কেউ তাকে চিনতে পারবে তাই তারা তার মালামালের ওপর তার অঙ্কিত ছবিটি দেখে দিল অতঃপর তারা যখন তাকে গোসল দিয়ে কাপড় পরাতে উপস্থিত তখন দেখা গেল তিনি জান্নাতের কাপড় পেয়ে গেছেন তার কারণে মৃগনাভি লাগানো ছিল লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম পাঠ করলেন পড়িয়ে দিলেন তার অপেক্ষা করে দিলেন আমরা আশা করি.।
দেখবেন তার খেদমতের কারণে আমাদেরকেও জান্নাত দেয়া হবে আরে নেককার বান্দা কে অরক্ষিত অবস্থায় প্রচন্ড শীতের মধ্যে রাখার কারণে তারা অত্যন্ত লজ্জিত হলো যে কারণে ইন্তেকাল হয় অতঃপর তারা তাকে দাফন করতে উঠিয়ে অপেক্ষাকৃত একটি নরম স্থানে রেখে দেয় যারা যায় তারা যখন আল্লাহু আকবার বলে তখন আসমান থেকে জমিতে পর্যন্ত এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে তাকবীর এর আওয়াজ শোনা গেল এতে তাদের কলিজা ও চোখ ফেটে যাওয়ার উপক্রম হল এবং ভীষণ ভয়ের কারণে ওর মাথার ওপর তাকবীর ধোনির আওয়াজের ভয়ে তারা কিভাবে তার জানাযা শেষ করবে তা বুঝতে পারছিল না এরপর তারা তার লাশ কবরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠানো হলো এমন সময় তাদের মনে হলো তারা যেন কোন হালকা জিনিস ধরে আছে তারা তার কোন ভাব করছিল না এমন ভাবে তাকে দাফন করা হলো এবং কাফেলা লোকেরা তার অলৌকিক ব্যাপারে আশ্চর্যান্বিত হলো অতঃপর তারা যখন মুর্শিদাবাদে আসে এবং ওয়াইস করনী রহমাতুল্লাহ আলাইহির আকার আকৃতি ও ঘটে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করে তখন মসজিদে কান্নার রোল.।
এই অবস্থা না হলে তার মৃত্যুর সংবাদ কেউ জানতোই না এবং তার কবরের খোঁজ বেদনা কেননা তিনি নিজেকে লোকালয় থেকে লুকিয়ে রাখতে বা মানুষ থেকে পালিয়ে থাকবেন মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন তার বরকতে আমাদেরকেও বরকতময় করুন বন্ধুরা কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই ঘটনাটি কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন আজ তাহলে এ পর্যন্তই আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ ।