হযরত মুহাম্মদ সঃ এর ছাগল চড়ানোর খুব সুন্দর কাহিনী | শিশু নবীর চমৎকার কাহিনী
হযরত মুহাম্মদ সঃ এর ছাগল চড়ানোর খুব সুন্দর কাহিনী | শিশু নবীর চমৎকার কাহিনী

বিসমিল্লাহ রচনা আজকে আমরা আল্লাহ সুবহানাতায়ালার মাহবুব হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু সালামের শৈশব এলাকার ছাগল চরানোর খুবই সুন্দর একটি ঘটনা , হযরত হালিমা সাদিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা যিনি মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু ইসলামকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করেছিলেন আর যিনি আপনি সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর দায় মৌ ছিলেন হযরত হালিমা সাদিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা বলেছেন যখন থেকে মুহাম্মদ আমার জীবনে এসেছে তখন থেকে তার বরকতে আমার জীবন সম্পূর্ণ হয়ে পড়ি.।
হয়ে গিয়েছিল আর যার বরকত এতটাই ছিল সেই জন্য আমরা মুহাম্মাদের নাম পরিবর্তন করে বরকতময় রেখে দিয়েছিলাম হযরত হালিমা সাদিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা বলেছেন একবার আমাদের এখানে করা শুরু হয়ে গিয়েছিলো মানে চারিদিকে শুষ্ক পরীক্ষা ছিল জীবজন্তুর সাথে মারা যাচ্ছিল কিন্তু আমার বাচ্চারা যেদিকে ছাগল নিয়ে যেত তো সেখান থেকে আমাদের ছাগলগুলো খুব খাওয়া-দাওয়া করে ফিরে আসত অনেক খুব পেট ভরে খাবার খেয়ে তবে ঘরে ফিরে আসত এ অবস্থাকে দেখে গ্রামের সমস্ত মানুষকে আপন আপন বাচ্চাদেরকে বকাঝকা করতে শুরু করল আর বলতে লাগল যে যেদিকে হালিমা সাদিয়া ছাগল না যায় সেদিকে তোমরা কেন যাওনা আর্যাবর্তের গ্রামের অন্যান্য ছেলেপিলেরা হালিমা সাদিয়া বাচ্চাদের পিছন পিছন ছাগল নিয়ে যেতে শুরু করল আর তারা সকলেই ছাগলগুলোকে একসাথে চলা শুরু করলো মানে হালিমার ছাগল এবং গ্রামের অন্যান্য মানুষদের ছাগলগুলো একসঙ্গে চলতে শুরু করল কিন্তু গ্রামের মানুষজন এটি দেখে খুবই অবাক হয়ে গেল যে সমস্ত ছাগল একসঙ্গে চলছে কিন্তু হালিমার ছাগলগুলো পেট ভরে খাচ্ছে সেখানে গ্রাম.
ভারতের ছাগলগুলোর পেট ভরছে না আর যে হালিমা সাদিয়া রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা বলেন এগুলো সব কিছুই নয় হালিমা সাদিয়া বলেছেন যখন গ্রামে কোনো কারণ ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়তো এখন গ্রামের মানুষ এই ছাগল কে নিয়ে আমাদের ঘরে চলে আসতো আর তখন মোহাম্মদের সেই নরম হাতের স্পর্শ ছাগলের ওপর বুলিয়ে নিয়ে তারপর সেই ছাগল সঙ্গে সঙ্গেই সুস্থ হয়ে যেত শুধুমাত্র এতোটুকুই নয় গ্রামের যদি কোন বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যেত তখন সে অসুস্থ বাচ্চার উপরে উদ্দেশ্যে নরম হাত বুলিয়ে দিত আর যার পরশে একেবারে সুস্থ হয়ে যেত আর এমনভাবে শিশু নবী দোলে হালিমার ঘরে যত্ন পেয়ে বড় হয়ে উঠছিলেন আর যখন আপনার বয়স তিন বছর হয়ে গেল তখন একদিন হালিমা সাদিয়া নিজের মেয়ে তার মাকে বলতে লাগলো মা আমার সেখানে ভাই মুহাম্মদকে ছাড়া মন বসে না ওগো মা তুমি কাজ করবে যখন আমি ছাগল চরাতে যাব তখন আমার ভাই মোহাম্মদ কেউ আমার সঙ্গে পাঠিয়ে দেবে তো এডিশনে হযরত হালিমা সাদিয়া.
আল্লাহু তাআলা বলতে লাগলেন সে এখন অনেক ছোটো আছে আর সে খুবই নাজুক হয়ে আছে যদি সে রোদ রোদে পুড়ে যায় দেখো কত সুন্দর মিষ্টি চেহারা তার আমি তাকে কখনো কষ্ট দিতে পারব না কিন্তু আমার সেহেজাদা যদি জঙ্গলে যাওয়ার সময় মুহাম্মদের পায় কোন কাটা পড়ে যায় তাহলে সে এখন খুব ছোটো আছে আর এই জন্যই আমি তোমার সঙ্গে তাকে জঙ্গলে পাঠাতে পারবোনা জঙ্গলের জীবজন্তুর আতাকা বিপদে ফেলে দেবে আর সে গুলোকে দেখাও মোহাম্মদ সবাই ভয় পেয়ে যাবে ওর মায়ের মুখে এমন কথা শুনে হালিমার সাদিয়ার মেয়ে বলতে লাগল হ্যাঁ তোমার দূরের কথা বলছো যখন আমি আমার ভাইয়ের সঙ্গে বাইরে বেরোয় তখন আমাদেরকে আকাশের মেঘ এসে ছায়া করে থাকে আর তুমি জঙ্গলের জানোয়ার দের ভয় দেখাচ্ছো তাহলে তুমি শুনে রাখ জঙ্গলের জীবজন্তুর এসে ভাই মুহাম্মদ এর গালে চুমু দিয়ে যায় সেই জীবজন্তুর সেজদা করে শুধুমাত্র এতোটুকুই নয় যখন আমি মোহাম্মদ কে সঙ্গে নিয়ে যায় তখন আমার কাজগুলো খুবই সহজ হয়ে যায় ।
হালিমা সাদিয়া তাকে অনুমতি দিয়ে দিলেন আর তারপরের দিন থেকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আপনার বোনের সঙ্গে জঙ্গলে ছাগল চরাতে যেতে থাকলেন আর যখন রোদ্দুর প্রখর হতো তখন আসমানের একটি মেয়েকে সে আপনাকে ছাড়া করতে শুরু করত আর এমন এভাবে প্রায় কয়েক দিন পর্যন্ত আপনি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সেই বোনের সঙ্গে ছাগল চরাতে যেতে থাকলেন কিন্তু এরপর হযরত হালিমা সাদিয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহার পুত্র মুহাম্মদকে থামে নিলেন আর বললেন যে তুমি আজকের পর থেকে আর কখনো ছাগল চরাতে যাবে না তোমাকে আর আমি কষ্ট দিতে পারব না ও আমার পুত্র আমি খুবই মোহাব্বত করি তোমাকে আর সেই জন্য এক মুহুর্ত আমার কাছ থেকে তুমি দূরে থাকো সেটা আমার একদমই ভালো লাগে না আর যদি বলো অন্য কথা তাহলে তুমি আমার কাছে একটি বিশেষ দামি আমারও তো হয়ে আছে আজকের পর থেকে আর তুমি কখনো ছাগল চরাতে যাবে আর এমনিভাবে হযরত হালিমা সাদিয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহার মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে ছাগল চরানো থেকে বিরত রাখলেন তারপর.।
তার পরেরদিনও আপনি ছাগল চরাতে গেলেন না এবং তৃতীয় দিনেও আপনি ছাগল চরাতে জঙ্গলে গেলেন না এরপর হযরত হালিমা সাদিয়া দেখলেন তাঁর কন্যা কান্না করতে করতে ঘরে ফিরে আসছে এদিকে দেখে হালিমা জিজ্ঞেস করলেন কী হয়েছে তুমি কাঁদছো কেন তখন সে মাকে বলল মা আমাদের একটি ছাগল শিয়ালের ধরে নিয়ে গেছে যখন দায় হালিমা নিজের মেয়ের মুখে এমন কথা শুনলেন তো তখন তার চোখেও সঙ্গে সঙ্গে পানি চলে আসলো এবার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যখন নিজের মায়ের চোখে অশ্রু দেখলেন তখন আপনার চোখ থেকে অশ্রু ঝরতে শুরু করল নরম ছিল কারো দুঃখ কে আপনি সহ্য করতে পারতেন না আর সেখানে দায় হালিমা সে তো আপনার মা ছিল এরপর শিশু নবী বলতে লাগলেন আম্মি জান তুমি কান্না কেন করছ তখন হালিমা সাদিয়া বলতে লাগলেন আমার মুহাম্মদ আমাদের একটি ছাগল কে জঙ্গলের একটি শিয়াল ধরে নিয়ে গেছে না জানে এখনো তার সঙ্গে কি গিয়ে করবে সে এটিকে শুনে দয়ারও নবী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ইসলাম নিজের মাকে বলতে লাগলেন.
কান্না বন্ধ করুন আমি এখনই গিয়ে সেই ছাগলকে নিয়ে আসছি এটিকে শুনে হালিমা সাদিয়া বলতে লাগলেন না তুমি কখনো জঙ্গলে যাবে না সেখানকার শেয়ালরা খুবই ভয়ানক হয়ে থাকে কোথাও তারা তোমার উপরেই না আক্রমণ করে দেবে আর এমনিভাবে দায় হালিমা আপনি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে মানা করতে থাকলেন কিন্তু আপনি আপনার মায়ের পাছা কে সামান্য এড়িয়ে গিয়ে বললেন না মা আমি আমাদের ছাগলকে এক্ষুনি গিয়ে নিয়ে আসছি আর জাফরুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ইসলাম জঙ্গলের দিকে নিজের ছাগলকে খোঁজার জন্য চলে গেলেন আর জঙ্গলে পৌঁছে একটি কথা বললেন যে সমস্ত জঙ্গলের জীবজন্তু পশুপাখি না তোমরা সকলে এখানে চলে এসো আর আমার মায়ের ছাগলকে কে নিয়ে গিয়েছে আপনার কন্ঠ শোনা মাত্রই সমস্ত জীব যন্ত্র চলে আসলো এবং আপনাকে দেখে তারা সালাম করতে লাগল তারপর আপনি সাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন হে জঙ্গলের জানোয়ার আমার মায়ের ছাগলকে পুনরায় ফিরিয়ে দাও আপনি সাল্লাল্লাহু ইসলাম শুধুমাত্র এতোটুকুই বললেন তো জঙ্গলের সমস্ত জীব জন্তুর আর সেই ছাগলের সঙ্গে করে নিয়ে আপনার কাছে দৌড়ে চলে আসলো আর আপনার পায়ের কাছে মাথা নিচু করে.।
আমি দিতে শুরু করল আর কোন কিছু না বলেই সেই শিয়ালটি ও আপনার চরন তলে বসে গেল আর খুব আদরের সাথে বলতে লাগল হে প্রিয় রাসূল আপনার উপর আমাদের জীবন কোরবান হয়ে যাক শুধুমাত্র এতোটুকুই শোনার পর আপনি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলতে লাগলেন জঙ্গলের জীবজন্তুর তোমরা কি জানতে না যে এই ছাগলটি আমার মা হালিমার বলো তোমরা আমার মাকে কেন কষ্ট দিলে আমরা কি জানতে না দেখো কি এখন আমার মা কান্না করছে কেন আমার মায়ের ছাগলকে নিয়ে গিয়েছিলে তখন সে যন্ত্র বলতে লাগল ইয়া রসুলুল্লাহ আপনি তো ছাগল চরানোর জন্য কয়েকদিন জঙ্গলে আসলেন আর সেই সময় তখন আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে আপনার চেহারা মোবারক কে দর্ষণ করতাম আর এটিও দেখতাম যে এই সম্পূর্ণ কায়নাত কে সৃষ্টি করা পাখি যা তার নিজের মেয়েকে কেমন করে বানিয়েছেন কিন্তু ইয়ারাসুলাল্লা আপনি তো তারপর থেকেই জঙ্গলে আসা বন্ধ করে দিলেন আর এমন হবে তিন দিন হয়ে গেল আমি জঙ্গলে তাসরিফ নিয়ে আসছিলেন না আর এই জন্যই আমরা সকলে এটাই ভাবলাম যে যদি হালিমার একটি ছাগল কে ধরে রেখে দেওয়া হয় তাহলে সেই অজুহাতে আমরা সকলেই আপনার.
করতে পারব আমরা এটি ভেবে নিলাম যে যদি রসূলকে দ্বিতীয়বারের মতো দর্শন করতে হয় তাহলে হালিমার ছাগলকে উঠিয়ে নিয়ে আসতেই হবে আর মোঃ সাগর কে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অবশ্যই এখানে আসবে কেন তিনি তার মাকে কখনো কান্না করতে দেখতে পারবেন না আর এমন হবে আমাদেরকেও দিদারে মোস্তফা হয়ে যাবে তারপর সেই জানোয়ার আর বলতে লাগল হে আল্লাহর রসূল আপনার উপর আমাদের জীবন কোরবান হয়ে যাক এখানে এই ছাগলকে ধরা এক বাহানা ছিলো কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আপনার চেহারা মোবারক এর দর্শন করা আর এই জন্যই আমরা আপনার আম্মার ছাগল কে নিশানা বানিয়েছিলাম আপনারা দেখলেন মোহাব্বাতে খুব সুন্দর দৃশ্য কে এই জন্তু জানোয়ারদের মধ্যে সিংহ ছিল যাকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী মনে করা হয়ে থাকে শিয়াল যাদেরকে ভয়ঙ্কর মনে করা হয়ে থাকে তারাও ছিল এর সঙ্গে এই জঙ্গলে যতগুলো ভয়ানক জন্তু সকলে এদের মধ্যে উপস্থিত ছিল যদি একটি ছাগলের কোন শিয়াল কিংবা বাক ধরে নিয়ে যায় তাহলে কখনোই তাঁকে ছেড়ে দেয় না কিন্তু আপনি এখানে মোহাব্বত কে দেখুন জন্তু-জানোয়ারের সাজদা করতেছিল আশায় তিনি ছিলেন আমাদের দয়ারও নবী.
মায়ার নবী মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর সেই মহামানবের উম্মত আমরা কোন কিছু না পারলেও শুধুমাত্র এইটুকুন জন্য নিজেকে গর্ব করব । আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া যে তিনি যেন আমাদেরকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ইসলামের নির্দেশ মোতাবেক চলার তৌফিক দান করেন আমীন সুম্মা আমীন ।