
যদি আমি আপনাদের বলি যে ভবিষ্যতে মানুষ যে বাড়ি তৈরি করবে সেই বাড়ির বাইরের দেয়ালের রং করা হবে সেই রংগুলো সোলার প্যানেল হিসেবে কাজ করবে এবং ওই বাড়ি গুলোতে যে ইট ব্যবহার করা হবে সেই ইট গুলো এক একটা ব্যাটারি হিসেবে কাজ করবে তাহলে কি আপনি সেটা বিশ্বাস করবেন শুনতে অবাক লাগলেও আমরা কিন্তু সেই ভবিষ্যৎ থেকে বেশি দূরে নেই আর এই ছবি হতে চলেছে ন্যানোটেকনোলজির জন্য যে আসলেই ন্যানো টেকনোলজি কি এবং কিভাবে এই টেকনোলজি আমাদের পৃথিবীতে একেবারে পাল্টে দিতে পারে আমি সুদীপ্ত আর আপনারা দেখছেন এবং ফ্যাক্টরিয়াল চলুন আলোচনা করা যাক সায়েন্স এবং টেকনোলজি সম্পর্কে আগের মতোই আছে কিন্তু আমাদের কাছে যেন পৃথিবীতে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছে এই পৃথিবীতে কোন একটা খুব গভীর এবং আর্ন এক্সপ্লোর জগত আছে যেটা সাধারণ মানুষের চোখে ধরা পড়েনা মাইক্রোস্কোপিক জগতের সত্যিই ক্ষমতা আছে আমাদের আশ্চর্য করে দেবার মত কিন্তু আজকে আমরা মাইক্রোস্কোপিক জগতের.
আরো গভীরে যাবো আমরা জানার চেষ্টা করব ন্যানো স্কপিক জগতকে আমরা যে সমস্ত বস্তু নিয়ে কাজ করি নেই ম্যাচ কপির জগত তা থেকে কয়েক বিলিয়ন ছোট আর এটাই হল ন্যানোটেকনোলজি ন্যানোটেকনোলজি মানে এমন টেকনোলজি যেটাকে ন্যানো স্কেলে ডেভলপ করা হয়েছে এবং যার ব্যবহার আমরা বাস্তব জীবনে করতে পারি এর মানে হলো অনেক ক্ষুদ্র বস্তুকে জানা এবং তাদেরকে ইঞ্জিনিয়ারড করা ক্ষুদ্র মানে অনেক অনেক ক্ষুদ্র এবার যদি জানতে চাই যে এই ন্যানো স্কেলে মানে কত ছোট তবে সেটা বোঝানোর জন্য উদাহরণকে ব্যবহার করতে হবে সোজাসুজিভাবে বললেই কেউই বুঝবে না আমি কত ছোট জিনিসের কথা বলছি একটা পেনের নিব কয়েক মিলিয়ন ন্যানো মিটার চওড়া হয় সুতরাং আমরা কাছাকাছিও যেতে পারলাম না একটা কাগজ প্রায় 75 হাজার ন্যানোমিটার মোটা হয় মানুষের চুল 50000 ন্যানোমিটার মোটা আর এরপরে তুলনা করার জন্য অন্য কিছু পাওয়া যাবে না সুতরাং ব্যাপারটাকে বোঝানোর জন্য একটু অন্যভাবে দেখতে হবে যদি ন্যানোমিটার একটা ফুটবলের মত হয় তাহলে করোনা ভাইরাস একটা মানুষের মত বড় হবে.
সেই বাড়িতে গিয়ে একটা রুটি নিউজিল্যান্ডের মত বড় হবে এবং একটা মুরগি আমাদের পৃথিবীর সাইজের হবে আরো ভালোভাবে বললে যদি প্রত্যেকটা মানুষ এক টানানো মিটারের মতো হয় তবে পৃথিবীতে যত মানুষ আছে সবাইকে একটা গাড়ির মধ্যে ভরে দেওয়া যাবে তাও একটা খেলনা গাড়ির মধ্যে বাস্তব গাড়ির মধ্যে নয় আশা করি বুঝতে পেরেছেন এই ন্যানোটেকনোলজি বলতে আমি কত ছোট লেভেলের কথা বলছি কিন্তু প্রশ্ন হল যে ন্যানো টেকনোলজি তে যদি এত ক্ষুদ্র লেভেলে কাজ হয় তাহলে সেটা আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে আসলে এটা আলটিমেটলি আমাদের বোঝায় যে এই ইউনিভার্সিটি খানে আমরা বসবাস করি সেটা একচুয়ালি কাজ কিভাবে করে তা ছাড়াও আমরা এগুলো সাহায্যে অনেক ইন্টারেস্টিং জিনিস করতে পারি আমরা যখন এই ন্যানো স্কেলে প্রবেশ করি তখন আমরা ফিজিক্সের সেই সমস্ত জায়গাতে কাজ করতে পারি যেটা নরমালি পসিবল নয় এমনকি এটাও মনে করা হয় যে ন্যানো সায়েন্স এবং ন্যানোটেকনোলজি আমাদের আশেপাশের পরিবেশকে কমপ্লিটলি চেঞ্জ করে দিতে পারে পৃথিবীতে সমস্ত কিছু দিয়ে তৈরি যে খাবারটা আমরা খাই.
আমরা পড়ি যে বাড়িতে আমরা থাকি এমনকি আমাদের নিজেদের শরীর সবই অনু দিয়েই তৈরি এবার একবার কল্পনা করে দেখুন যে একটা গাড়ি কিভাবে কাজ করে শুধুমাত্র গাড়ির ইঞ্জিন এর পার্টস গুলোকে থাকলেই হয় না সেগুলো কে সঠিক জায়গামতো এবং সঠিক স্টেপ এতে কাজ করতে হয় তবে একটা গাড়ি চলতে পারে তো ঠিক একইভাবে আপনার আশেপাশে যে সমস্ত বস্তু আছে সেগুলো যে অনু দিয়ে তৈরি হয়েছে ওই গুলো যেভাবে আছে অর্থাৎ যেভাবে অ্যারেঞ্জ করা আছে সেটাই ঠিক করে যে ওই বস্তুটা কী কাজ করবে ন্যানোটেকনোলজি কে ব্যবহার করে আমরা অণু-পরমাণুর অ্যারেঞ্জমেন্ট কে ম্যানুপুলেট করতে পারব এবং আমাদের ইচ্ছামত সেই জিনিস গুলো কে কাজে লাগাতে পারব ঠিক যেভাবে একই ধরনের ইট বালি সিমেন্ট কে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের বাড়ি তৈরি করা যায় শুনতে সিম্পল লাগলেও কিন্তু আসলে ব্যাপারটা এতটাও সিম্পল নয় কারণ কোন বস্তুর প্রান্তীয় চেঞ্জ হয়ে যায় যখন সেই বস্তু তাকে ছোট করা হয় যাকে কোয়ান্টাম নেফেক্স বলা হয়ে থাকে এই কোয়ান্টাম একটি ডিসাইড করে যে কোন বস্তুর.
ছোট করলে মানে খুবই ছোট করলে তাদের অ্যাটিটিউড বা বিহেভিয়ার কেমন ধরনের হতে পারে অতএব এই কমেন্টটা মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বুঝতে পারি যে কোন পদার্থ ন্যানো স্কেলে কিভাবে কাজ করবে সাইন্টিস্ট ইন্ডিয়ান স্কেলে কোন পদার্থের প্রোফাইলটিকে অ্যাডজাস্ট করতে পারে এবং টিউন করতে পারে এবং তারা কিছু বছর আগে থেকে এই কাজটা করে ও আছে এই ভাবেই সম্ভব হয় কোন পদার্থের মেলটিং পয়েন্ট কে চেঞ্জ করা যেমন ফ্লুরোসেন্স এমনকি এলেক্ট্রাইক্যাল কন্ডাক্টিভিটি কেউ চেঞ্জ করা যেতে পারে কিন্তু সায়েন্টিস্টরা যদি এই সমস্ত কিছু নিয়ে কাজ করে থাকে তাহলে বাস্তব জীবনে আমরা এর উদাহরণ কেন দেখতে পাই না আপনার জানার জন্য ভুলে দিয়ে আপনি হয়তো প্রত্যেকদিনই এমন কোন জিনিস ব্যবহার করেন যেটা ন্যানো টেকনোলজি সাহায্যে বানানো সম্ভব হয়েছে যেমন ক্লিয়ার ন্যানো স্কেলে ফিল্ম যেটাকে কাঁচের উপর কিংবা অন্য কোন সার্ভিসের ওপর লাগানো থাকে যাতে সেগুলো water-resistant scratch-resistant রিফ্লেক্টিভ হতে পারে দামি গাড়ি এরোপ্লেন জাহাজ এমনকি স্পেসক্রাফট কেউ অনেক লাইটওয়েট মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি.
করতে হয় যেখানে উনি এন্ড টেকনোলজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের কম্পিউটারের মেমোরি চিপ এবং প্রসেসর ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পারফরম্যান্স আগের থেকে অনেক বেশী ফাস্ট আমরা আমাদের স্মার্টফোনকে আরো বেশি স্মার্ট বানাচ্ছি শুধুমাত্র আমাদের হাটার থেকেই যে এনার্জি টা তৈরি হবে সেটাকে নেয়ানো জেনারেটরের সাহায্যে ব্যবহার করে আমরা ফোনকে চার্জ করতে পারি আমরা মেডিসিন k41 এই জায়গাতেই ন্যানো টেকনোলজি সাহায্যে পৌঁছে দিতে পারে শরীরের যে জায়গাতে আমাদের ট্রিটমেন্ট এর প্রয়োজন যার সাহায্যে ট্রিটমেন্ট কি আগের থেকে আরও বেশি ইফেক্টিভ বানানো সম্ভব কারণ এখানে ঔষধের পরিমাণ কম লাগে এবং সাইডএফেক্ট অফ মাসে এগুলো শুধু মাত্র কয়েকটা এক্সাম্পল বর্তমানে একটা কম্পিউটারকে অর্থাৎ যদি আমরা ল্যাপটপের কথা ধরি তাহলে সেটাকে আপনি আপনার ব্যাগে করে নিয়ে চলে যেতে পারবেন এটা আমাদের কাছে মোটেও কোন আশ্চর্যের ব্যাপার নয় খুবই নরমাল এবং সিম্পল একটা ব্যাপার কিন্তু কয়েক দশক আগে পর্যন্ত এটাও ছিল একটা অবাস্তব কাজ তখন যে কম্পিউটার ব্যবহার হতো.
সেটা বর্তমান কম্পিউটারের থেকে তো কয়েক লক্ষ গুণ ছিল ছিল কিন্তু তাদের সাইজটা একটা ঘরের মতো হতো আর সেই সময়ে মানুষ কখনো ভাবেনি যে একটা কম্পিউটারকে একটা ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব আর এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মাইক্রোপ্রসেসর কে ছোট করার ফলে এক্সাম্পেল হিসেবে ট্রানজিস্টার এর কথা যদি আমরা দেখি যার সাহায্যে এই মাইক্রোপ্রসেসর গুলো তৈরি হয় সেটা মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে এত ছোট হয়ে গেছে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবে না মাত্র 2000 সালে যে ট্রান্সলেটর ব্যবহার করা হত তার সাইজ ছিল 250 ন্যানোমিটার 2016 আস্তে আস্তে আমরা যে ট্রানজিস্টার ব্যবহার করতে শুরু করে সেগুলোর সাইজ ছিল মাত্র 1 ন্যানোমিটার ইন্টারনেটে অনেক সময় আপনি দেখে থাকতে পারেন মোবাইলের স্ক্রিন যেটা করা যায় করা যায় মানে ফ্লেক্সাইবেল মোবাইল স্ক্রিন না ওগুলো কোন সাইন্স ফিকশন নয় ওগুলো রিয়েল আর এই স্ক্রিণ গুলোকে তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয় সেমিকন্ডাক্টর ন্যানো মেমব্রেন এদের মনোক্রিস্টালাইন স্ট্রাকচার মাত্র 199 জন এর কাছাকাছি.
মোটা হয় এসব উদাহরণ তো ছিল শুধুমাত্র ডিজিটাল এবং মেডিকেল টেকনোলজি ব্যাপারে কিন্তু ন্যানোটেকনোলজি কে ব্যবহার করেই আমরা পৃথিবীর বাড়তে থাকা সমস্যার সমাধান করতে পারি এটা মনে করা হয়েছে ন্যানো টেকনোলজি সিগনিফিকেন্স কন্ট্রিবিউট করতে পারবে এনভারমেন্ট এবং ক্লাইমেট প্রটেকশন এর ব্যাপারে.
টেকনোলজি কে ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরনের র মেটেরিয়াল জল এবং এনার্জি কে বাঁচাতে পারবো এমনকি বায়ুমণ্ডল থেকে গ্রীন হাউজ গ্যাস কেউ কমানো সম্ভব হতে পারে ন্যানোটেকনোলজি কে ব্যবহার করে যদি আমরা কোন পদার্থের স্টুডেন্টকে বাড়াতে পারি তাহলে তাদের দুরাবিলিটি অনেক বেশি হবে এবং অনেকদিন পর্যন্ত চলবে বলে কোন ইন্ডাস্ট্রিতে র মেটেরিয়াল কম ব্যবহার হবে নাকি 5% সিলিকন বেসড সোলার প্যানেল গুলো যেগুলো কমার্শিয়াল ইউজ করা হয় সেগুলো কে তৈরি করার জন্য ন্যানোটেকনোলজি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আর এই টেকনোলজিকে ব্যবহার করেই এমন পেজ তৈরি করা যেতে পারে যদি আপনি আপনার বাড়ির বাইরে লাগালে সেটা সোলার প্যানেল হিসেবে কাজ করতে পারে আর আপনার পুরো বাড়িটাই সোলার এনার্জি কে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি তে কনভার্ট করতে পারে কিছু সায়েন্স টেকনোলজি কে ব্যবহার করেছিল তৈরী করেছে যেটাকে কোন লিকুইড এর মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে কিন্তু প্রশ্ন হল যে এই রং তাহলে মার্কেটে এভেলেবেল নয় কেন আমরা কিনতে পারি না কেন কারন এই নেন ক্রিস্টালকে তৈরি করার জন্য একটা.
মেটেরিয়াল কি ব্যবহার করা হয়েছে যেটা হল ক্যাডমিয়াম এটা একটা খুবই টক্সিক মেটাল মানে বিষাক্ত ধাতু বাজারে বিক্রি করার জন্য পারমিশন দেবেনা তাই বৈজ্ঞানিক একটা নতুন কোন পদার্থ খুঁজে যার সাহায্যে এইরংগে বানানো যেতে পারে এবং যারা সাধারণ মানুষের কাছে একেবারে হার্মলেস হবে তাহলে আপনার সম্পূর্ণ বাড়িটা একটা সোলার প্যানেল হিসেবে কাজ করতে পারে কিন্তু আপনি ওই এনার্জিকে স্টোর করবেন কোথায় আর এর জন্য একটা স্পেশাল ব্যবস্থা আছে ন্যানোটেকনোলজি কে ব্যবহার করে কোন ইটকে এমনভাবে তৈরি করা যেতে পারে যে সেই এইট ব্যাটারি হিসেবে কাজ করতে পারে ব্যাটারি ঠিক নয় বলতে পারেন সুপার ক্যাপাসিটর আর এই টেকনোলজি কাকে বলা হয় লাস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট পলিমারাইজেশন তবে এই ব্যাপারে আমি বেশি কিছু ইনফরমেশন দিতে পারব না কারণ এটা ডেভলপমেন্টের খুব আরলি স্টেজে আছে কিন্তু যদি সাকসেসফুল হয় তাহলে অনেক কিছুই পাল্টে যেতে পারে আর মানুষ বর্তমানে যে দ্রুতগতিতে টেকনোলজিতে ব্লক করছে আমার মনে হয় না যে আমরা.
2017 পৃথিবী থেকে খুব একটা দূরে আছি তো আছে এই পর্যন্তই যদি ভালো লাগে তাহলে একটা লাইক এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে একদমই ভুলবেন না ।