বামন বট গাছ । ভুতের গল্প। Bamon bot gash । blogbaribd
বামন বট গাছ । ভুতের গল্প। Bamon bot gash । blogbaribd

কেমন আছেন সবাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম বামন বটগাছ
গ্রামের শেষ প্রান্তে বিশাল এক মাঠ মাঠের মাঝখানে অনেক পুরনো একটি বট গাছ দাঁড়িয়ে আছে শুধু পুরনো না অনেক বড় নায়িকার তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো গাছটা বেশি উঁচু না এত বয়স গাছটার অথচ খর্বাকৃতির লোকমুখে শোনা যায় কোন বামন প্রেতাত্মা এই বটগাছ আছে তাই গাছটাও বামন তাই গ্রামের মানুষ একই অভিশপ্ত বামন গাছ বলে গাছটা নিয়ে ভয়ংকর ঘটনা ও সমাজে মানুষের মুখে অনেক বছর আগের কথা কেউ একজন মাঠে গরু চরাতে এসে বিশাল এক.
হাত দেখে বটগাছের সাপটা গ্রামের মানুষের ক্ষতি করতে পারে ভেবে লোকটা সাপুরিয়া দের খবর নেই পরের দিন সাপুরিয়া রা যখন আসে গ্রামের সব মানুষ মাঠে জমায়েত হয় ওরা যখন বিন বাজানো শুরু করল তখন হঠাৎ বটগাছের আলো বাতাস বইতে লাগলো প্রচন্ড ঝড় শুরু হল মাঠে যদিও আকাশ একদম পরিষ্কার হয় মানুষজন পালাতে শুরু করল কিছুক্ষণ পর বট গাছের মাটি ভয়ঙ্কর এক সাপের মুখ বের হল সাব্যস্ত সেই ঝড় শুরু হয়েছে বলে ভয়ে পালিয়ে গেল যাওয়ার সময় পাড়া গ্রামের লোকজনকে বলে গেল আপনারা কোন দিনে সাপকে ধরার চেষ্টা করবেন না তাহলে কি ওই বাঁচতে পারবেন না এটা কোন 79 ভয়ঙ্কর এক প্রেতাত্মা.
তারপর থেকেই মানুষজন ভয়ে বট গাছের কাছে খুব একটা যেত না আস্তে আস্তে মানুষ ভুলে গেল ভয়ংকর সেই ঘটনা আর তার কিছুদিন পরে ঘটল আরেকটি ঘটনা আবেদন করার বাসিদা জহির প্রতিদিনের গরু গুলোকে মাঠে ছড়াচ্ছে নিয়ে যেতে একদিন একটা বাসর হারিয়ে গেল অনেক খুশি হয়েছে বাছুরটা পেল না রাত হয়ে গেছে তখন.
জহির এর বউ বললো আবারো মাঠে খুঁজে দেখা যাক.
কথামতো জহির আর ওর বউ হারিকেন হাতে মাঠে গেল.
পূর্ণিমা রাত.
চাঁদের আলোয় মাঠে ওরা বাছুর খুঁজতে লাগল একটু পর জহিরের বউ হয়রান হয়ে বটগাছের তলায় বসল জহির একাই মাঠে বাছুরটা খুঁজতে লাগলো.
হঠাৎ জহির এর বইয়ের মনে হলো কে যেন ওর কাঁধে হাত দিল.
পেছনে তাকিয়ে ওকে ছবি দেখলোনা মনের ভুল ভেবে ও তেমন কিছু ভাবলো না বিষয়টা নিয়ে মাঠে বাছুরটাকে খুঁজে পেল জহির.
ওরা বাড়ি ফিরে আসলো কিন্তু পরের দিন সকালেই বাছুরটা মারা যায় এই ঘটনাটা অতটাও অস্বাভাবিক নয় কাকতালীয়ভাবে যায় কিন্তু অদ্ভুত ঘটনাটা ঘটে কয়েক মাস পর সেদিন জহির এর বউ এর কৌশল একটা ছেলে আসলো জন্মের পর জহির এর বউ দেখল ওর ছেলের কাঁধে হাতের আঙ্গুলের ছাপ আঁতকে উঠল ওর ছেলের পিঠে ছাপ দেখে ভয় পেয়ে গেল মনে একটাই চিন্তা ছেলেটার কোন ক্ষতি হবে না তো কিছুদিন পর ওরা ওদের ছেলেকে নিয়ে একজন হুজুরের কাছে যায় সবকিছু শুনে হুজুর একদিন পর ওদের আসতে বলেন পরেরদিন হুজুর বললেন তোমাদের ছেলে কোনদিনও লম্বা হবে না সারাজীবন বামন থাকবে সত্যি সেই ছেলে যতদিন বেঁচে ছিল ততদিন বামনী ছিল সেই ঘটনার পর ওই গাছটা গ্রামবাসীর কাছে আরো.
ভয়ংকর আর অভিশপ্ত হিসেবে পরিচিত হয় সময় গড়িয়ে বাড়তে থাকে ভয়ংকর ঘটনা গুলো গ্রামবাসী মন থেকে আস্তে আস্তে মুছে গেল.
গ্রামে আস্তে আস্তে উন্নয়ন হলো তবে বটগাছ আশিমা আগের মতোই থেকে যায় ঝুমুর দাদুর কাছে শুনেছে বটগাছের ভয়ংকর কাহিনী ভয় পেলেও মনে মনে বিশ্বাস করে নিও ঘটনাগুলো সেদিন সন্ধ্যাবেলা এলোমেলো চুলে বট গাছের পাশ দিয়ে হাটছিল খোলা মাঠে ওর হাতটা খুব ভালোলাগে হালকা অন্ধকার নেমেছে চারিদিকে হঠাৎ দেখল মাঠের এক কোণে কেউ একজন কাঁদছে.
ঝুমু হেঁটে লোকটা কাছাকাছি যেতেই লোকটা অদৃশ্য হয়ে গেল খুব অবাক হলো ঝুমুর এইমাত্র দেখা লোকটা কোথায় হাওয়ায় মিলিয়ে গেল চারি দিকে তাকাতেই দেখল লোকটা বট গাছের নিচে বসে আছে ঝুমু হেঁটে গাছের নিচে গেল.
আবারো লোকটা হওয়ার জন্য ভয় পেয়ে গেল দাদুর কাছে শোনা গল্প গুলো মনে পরতে লাগলো ওর হঠাৎ করে শব্দ হলো ঝুমুক ভাবে তাকিয়ে দেখল সাদা কাপড় পরা একটা বামন বট গাছের ডালে বসে কাঁদছে বা মনটা মুখ তুলে তাকাল মুখটা দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠল চুমু বামন তার মুখে গর্ত জিভটা সাপের মত চিকন কালো ভয়ংকর শব্দ বের হচ্ছে মুখ থেকে.
পরের দিন সকালে ঝুমুর লাশ বট গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল আশ্চর্য হলেও সত্য ঝুমুর দেহটা তখন বামনাকৃতি হয়ে গিয়েছিল আবারো ভয়াভহ সময় হয়ে গেল পুরো গ্রাম আজ পূর্ণিমা রাত.
রহস্যময় চাঁদ আলো ছড়াচ্ছে মাঠজুড়ে অভিশপ্ত গাছটাকে ও আলো ছুঁয়েছে.
হঠাৎ নড়ে উঠলো গাছের একটা ডাল হয়তো সেই ভয়ঙ্কর বামন প্রেতাত্মা তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে রাত বাড়ছে আর নির্জন মাঠের ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী অভিশপ্ত বামনগাছি