Islamic Post

রাবেয়া বসরীর জীবনী – পর্ব ১ | হযরত রাবেয়ার জীবন কাহিনী | Rabia Basri | Rabeya Bosri Jiboni.

রাবেয়া বসরীর জীবনী - পর্ব ১ | হযরত রাবেয়ার জীবন কাহিনী | Rabia Basri | Rabeya Bosri Jiboni.

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ প্রিয় দর্শক  মহীয়সী নারীদের জীবনীতে আজ আমরা শুনব হযরত রাবেয়া বসরীর জীবনী আমরা কয়েকটি পর্বে ভাগ করেছি আজ আমরা শুনছি প্রথম পর্বটি হযরত রাবেয়া বসরী আর একজন মহিলা ছিলেন বস্ত্রা নগরের জন্মগ্রহণ করেন তাঁর পিতার নাম ছিল ইসমাইল তার পিতা এতই গরীব ছিলেন যেদিন তিনি ভূমিষ্ঠ হয় সেদিন তার ঘরে বাতি জ্বালানোর মত তেলটুকু ছিল কিন্তু আল্লাহ্পাকের কি মহিমা এই কন্যাই বিশ্ব বিখ্যাত অলিয়ে কামেল রমণী বলে উপাধি লাভ করেছিলেন রাবেয়ার বাল্যকালের পিতা মাতা.

ইয়াতিম করে চিরবিদায় হয়ে যায় তখন হতেই তিনি তার বড় তিন বোনের সাথে বাস করতে থাকেন রাবেয়ার জন্ম তারিখে অন্ধকার ঘরে ইরা ব্যবহৃত হয়েছিল রাবিয়ার মাতা বিপদে পড়ে তার বাবাকে বলেছিলেন তার পাশের বাড়ি থেকে বাতি জ্বালানোর জন্য একটু তেল নিয়ে আসুন তিনি পাশের বাড়িতে গিয়ে দরজায় ডাকাডাকি করে ফিরে আসলেন পড়শী দরজা খুললো না এই দুঃখে চিন্তায় তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন তখন স্বপ্নে দেখলেন হুজুর সাঃ তাকে বলছেন চিন্তা করো না তোমার এই কোন নাই আল্লাহ পাকের এমন বুঝস বান্দি হবে যে হাশরের দিন আমার ৭০০০০ গুনাগার উম্মতের সুপারিশে নাজাত পেয়ে যাবে রাবেয়ার পিতা-মাতা ইন্তেকালের পর বস্তায় দুর্ভিক্ষ নেমে আসে তখন তার অন্যান্য বোনেরাও তার নিকট হতে দূরে সরে যায় রাবেয়াকে একা অসহায় পেয়ে কত.

লোক এসে রাবেয়াকে নিয়ে গিয়ে এক ইহুদির নিকট বিক্রি করে দেয় সেদিন হতে তিনি দাসি রূপে জীবন কাটাতে থাকেন সারাদিন কাজ করতেন তবুও ইহুদি নানা প্রকার জুলুম অত্যাচার নিষ্ঠুরভাবে মারধোর করতেন তিনি সহ্য করতে একদিন রাবেয়া ইহুদির কাজে কোথাও যাচ্ছিলেন পথে মধ্যে একজন বেগানা পুরুষের সাথে দেখা হয় তাড়াতাড়ি একপাশে সরে যেতেই তিনি আছাড় খেয়ে পড়ে যান এবং তার একটি হাত ভেঙে যায় তখনই তিনি সেজদায় পড়ে কাঁদতে লাগলেন হে আল্লাহ আমি দরিদ্র ইয়াতিম আপনার বান্ডি আমার হাতখানা ভেঙে গেল তবু আমার কোন দুঃখ নেই আমি আপনার সন্তুষ্টি কামনা করি আপনি দয়া করে শুধু আমাকে এটুকু জানিয়ে দেন আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট আছেন কিনা তখন রাবেয়া গায়ের হতে আওয়াজ শুনতে পেলেন রাবেয়া তুমি আর কেঁদোনা চিন্তা করোনা হাশরের মাঠে তোমার মর্যাদা এত উচ্চ হবে যে.

আসমানের ফেরেশতারাও তোমার প্রশংসা করবে তুমি ইহুদি ঘরে ফিরে যাও এটা শুনে তিনি ইহুদির ঘরে ফিরে আসলেন প্রতিদিন রোজা রাখতেন আর কঠোর পরিশ্রম করে ইহুদীর সাথে কাজ করতেন রাত্রে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়তো তখন রাবেয়া আল্লাহপাকের এবাদতের লিপ্ত হয়ে যেতেন সারারাত্রি নামাজ পড়ে কাটাতেন মুনাজাতে হাত উঠিয়ে রোদন করতেন আর বলতেন হে আল্লাহ আমার মনে চায় আমি সারাদিন তোমার এবাদত করি কিন্তু পারি না মনিবের কাজের জন্য তাই তুমি আমার ওপর রাগ করোনা আমাকে ক্ষমা করে দাও এইভাবে রাবেয়া ১২ বছর ইবাদত করার পর একদিন রাবেয়ার মনে ঘুম থেকে জেগে গুনগুন শব্দ শুনে রাবেয়ার রুমের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলেন অন্ধকার রুম খানা বেহেশতের নূরে আলোকিত রাবেয়ার মাথার উপর আকাশ হতে একটি নূরের ফানুস ঝুলানো সেই আলোতে সারা ঘর.

হয়ে গিয়েছে রাবিয়া সেজদায় পড়ে করুন কন্ঠে আল্লাহ পাকের দরবারে প্রার্থনা জানাচ্ছেন আর বলছেন হে আল্লাহ হে রহমান আমি তোমার হাসে সর্বক্ষণ আমার মন চায় তোমার এবাদতে মগ্ন থাকি এটাই আমার অন্তরের শান্তি আমি যদি স্বাধীন হতাম তবে এক মুহূর্ত তোমার এবাদত ছাড়া থাকতাম না তুমি আমাকে দেখা দাও তোমার বিরহ যাতনা আমি আর সহ্য করতে পারিনা আমার অন্তরে তোমার বিরহে তুফান বয়ে যাচ্ছে রাবেয়ার মনিবের মোনাজাত শুনে পাগল হয়ে গেলেন চিন্তা করতে লাগলেন এমন একজন বুজুর্গ মহিলা তার কাছ থেকে খেদমত নেয়া আমার উচিত নয় তার চেয়ে ভালো আমি তার খেদমত করি পরদিন ডেকে ডেকে বললেন মা আমি আপনাকে চিনি না এবং আপনাকে না চিনে যে অন্যায় ব্যবহার করেছি আমি সেই জন্য আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন আজ হতে.

২য় পর্ব আসছে……………….

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button